ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ 

পাবনায় সংঘর্ষে ২ শিক্ষার্থীসহ ৩ জন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৩৮, ৪ আগস্ট ২০২৪

শেয়ার

পাবনায় সংঘর্ষে ২ শিক্ষার্থীসহ ৩ জন নিহত

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সংঘর্ষে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৩২ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া তত্বাবধানে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীরা পাবনা সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান গ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকে।

ছাত্রদের আন্দোলন চলার সময় ওই সড়ক দিয়ে পাবনা সদর উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ চেয়ারম্যান গাড়ী নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে অপদস্ত করলে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ।

এ সময় শিক্ষার্থী জাহিদু ইসলাম (১৯), মাহবুবুল হোসেন (১৬), ফাহিম (১৭) নামের তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।

এ দিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে সাময়িক সময়ের জন্য বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মৃত্যুর খবর শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও জ্বালাময়ী স্লোগানে তাদের অবস্থান প্রকাশ করে।

এ দিকে দফায় দফায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীরা আব্দুল হামিদ সড়কে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি থমথমে।

নিহতরা হলেন- হাজীরহাট এলাকার কিশোর আবুল কালামের ছেলে আরাফাত হোসেন মাহবুবুল (১৬), বলরামপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (১৯) ও এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী ফাহিম হোসেন (১৭)। আহতরা চিকিৎসাধীন। নাম-পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছিল। এ সময় পেছন থেকে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক পৃথক হামলা চালায়। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এসময় শিক্ষার্থীরা যুবলীগ নেতা শিবলীর অফিস ভাঙচুর করে। এ ছাড়াও তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করে। আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ চেয়ারম্যানের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ আগুন একটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
 

novelonlite28
umchltd