খুলনা আদালত চত্বরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা রনবীর বাড়ৈ সজলের (৩৫) ওপর ডিম নিক্ষেপসহ পিটুনি দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে নিয়ে আসা হলে বিক্ষুব্ধ জনতা তার ওপর চড়াও হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে বাগেরহাটের মোংলার খাসেরডাংগা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী মনিরুল ইসলাম জানায়, সজলকে এজলাস থেকে বের করে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা তার ওপর ডিম নিক্ষেপ করে। এছাড়াও তাকে পুলিশ ভ্যান থেকে এজলাসে তোলার সময় এবং এজলাস থেকে বের করার সময়ও জনতা তাকে মারধর করে। এসময় সজলের বিচারের দাবিতে মিছিলও করে লোকজন। তখন তড়িঘড়ি করে পুলিশ ভ্যানে তুলে সজলকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
খালিশপুর থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর খালিশপুর থানা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ৩০ আগস্ট যুবদল খুলনা মহানগর শাখার যুগ্ম-সম্পাদক ও ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শেখ নুরুল ইসলাম মামলা করেন। এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে সজলকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির করা হলে আদালত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিন জামিন এবং রিমান্ডের আবেদন কোনো পক্ষই করেনি।
সজলের বিরুদ্ধে ঘের দখলকে কেন্দ্র করে হত্যা মামলাসহ ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে নগরীর সাতরাস্তা, ময়লাপোতা মোড়সহ একাধিক স্থানে ছাত্রদের ওপর হামলার নেতৃত্বের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের হুমকি, মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগও রয়েছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর তার বিরুদ্ধে খুলনা মহানগর ও জেলার পাঁচ থানায় হত্যাসহ ৭টি মামলা হয়। এসব মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপির) গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর আলম জানান, গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগের খুলনা মহানগরের সহ-সভাপতি রনবীর বাড়ৈ সজলের বিরুদ্ধে নগরীর সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর ও খুলনা সদর থানায় ৫টি মামলা এবং জেলার বটিয়াঘাটা থানায় একটি হত্যা ও রূপসা থানায় একটি মারামারি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: