ঢাকা বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ 

মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিংয়ে মৃত নারীকে জীবিত দেখিয়ে দলিল!

ঢাকা এজ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১:০৮, ৫ মার্চ ২০২৫

শেয়ার

মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিংয়ে মৃত নারীকে জীবিত দেখিয়ে দলিল!

রাজধানীর মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং ২য় পর্বে মৃত নারীর নামে জাল দলিল তৈরি করে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মোহাম্মাদ বাইজিদ হোসাইন এ অভিযোগ করেন।

বাইজিদ হোসাইন অভিযোগ করেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাইফুল ইসলাম নিজাম মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং ২য় পর্বের ব্লক-এন, রোড-৩, প্লট নং ৯১ জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তারা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করলে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তা নিতে বাধ্য হন তিনি।

তিনি বলেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন গত ২ মার্চ ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। জাহাঙ্গীর দাবি করেছেন যে, বাইজিদ হোসাইন একজন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং উক্ত জমিটি তার দখলে ছিল।

বাইজিদ হোসাইন দাবি করেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি একজন ব্যবসায়ী। ইস্টার্ন হাউজিং থেকে তিনি এবং তার অংশীদারগণ জমিটি বৈধভাবে ক্রয় করেছেন এবং বর্তমানে তাদের দখলে রয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, জাহাঙ্গীর ২০০৫ সালে মৃত নূরজাহান বেগমের নামে জাল দলিল (নং ৪৪৩৫, তারিখ: ২৫-৭-২০১৮) তৈরি করেছেন, যেখানে নূরজাহানের কাছ থেকে ২০১৮ সালে জমি ক্রয়ের দাবি করা হয়েছে। বাস্তবে, খতিয়ানভুক্ত নূরজাহান বেগম ২০০৫ সালেই মারা গেছেন এবং তার জমি (যতটুকু তিনি পেতেন) ১৯৯৮ সালে দলিল নং ৫৪৬১ মূলে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন। সিটি খতিয়ানে নূরজাহান বেগমের নামে ভুলবশত অতিরিক্ত জমি রেকর্ড করা হয়েছে, যা আসলে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ক্রয়কৃত জমি। এই ভুল সংশোধনের জন্য মিরপুর ভূমি অফিসে এ বিষয়ে একটি মিস-কেসের শুনানি চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, দলিলে নূরজাহানের পিতা আব্দুল মজিদ, মাতা ফিরুজা বেগম, স্বামী মো. আইনুদ্দিন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৯৮৭২৬৯৬৪০২৫৪৫২২৫ উল্লেখ আছে। সিটি খতিয়ান নং ১৪৮৯-এর নূরজাহান এবং দলিলের নূরজাহান একই ব্যক্তি নন। দলিলের সনাক্তকারী মুচলেকা দিয়েছেন যে, তিনি নূরজাহানকে চেনেন না এবং দলিল করার সময় উপস্থিত ছিলেন না।

বাইজিদ হোসাইন আরও উল্লেখ করেন, জাহাঙ্গীর ঢাকার বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (আদালত নং-২০)-এ সিআর মামলা (পল্লবী) নং ৬৯৪/২০২৪, ধারাঃ ভূমি অপরাধ, দায়ের করেছেন। আদালতের নির্দেশে সিআইডি তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করেছে। রিপোর্টে উল্লেখ আছে যে, নূরজাহান ২০০৫ সালে মারা গেছেন। অথচ মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে ২০১৮ সালে জমি দাবি করে জাহাঙ্গীর জালিয়াতি করেছেন।

novelonlite28
umchltd