কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যাত্রীবাহী ট্রেনে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের তিনটি বগির ভেতর ও বগির নিচ থেকে একে একে মরদেহ বের করা হচ্ছে। এখনো অনেকে বগির নিচে চাপা পড়ে আছেন। ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মোশাররফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুর্ঘটনাকবলিত এগারসিন্ধুর গোধুলীর তিনটি বগি থেকে একে একে মরদেহ বের করা হচ্ছে। বগির নিচে অনেকে চাপা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রাতেও উদ্ধার কাজ চলবে। ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট হতাহতদের উদ্ধারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব জংশনের কাছাকাছি গাইনাহাটি এলাকায় কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী এগারো সিন্ধুর গোধুলী ও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মালবাহী একটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল, আর যাত্রীবাহী ট্রেনটি যাচ্ছিল ভৈরব থেকে ঢাকায়। ভৈরব জংশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এ সময় যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়। হতাহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে কাজ করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে হাজারো উৎসুক জনতা ভিড় করেছে। উপস্থিত হয়েছেন দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনে থাকা যাত্রীদের স্বজনরা। তাদের অভিযোগ, স্টেশন মাস্টারের অবহেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। উদ্ধারকারীরাও দেরিতে ঘটনাস্থলে এসেছেন।
আরও পড়ুন: