ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় রুহুল আমীন মোমতাজি নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের আভিযোগ পাওয়া গেছে। কিশোরীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বসা সালিসে অভিযুক্তের সঙ্গে তার বিয়ে দেন এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত রুহুল আমীন মোমতাজি এলাকায় ধর্মীয় বক্তা হিসেবে পরিচিত। কিশোরীর অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করে আসছে রুহুল আমীন।
কিশোরীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সালিস বসান স্থানীয়রা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যানও। ঘণ্টাখানেক পর সিদ্ধান্ত জানান সালিসকারীরা।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহর ও এক লাখ টাকা উসুল দিয়ে ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে মোমতাজির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার সাব-কাজি উবায়দুল্লাহ নামের একজন তড়িঘড়ি করে বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করেন।
সাব-কাজি বলেন, ‘আমি বিয়া পড়াইছি না। খালি দুইজনরে দোয়া পড়াইয়া মিলাইয়া দিছি। আর বাকিডা চেয়ারম্যান জানে।
সালিসের প্রধান চণ্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন ভুইয়া বলেন, ‘এ ছাড়া কোনো পথ খোলা ছিল না। সামাজিক চাপে করতে হয়েছে। এতে সবারই সম্মান থাকল।’
নান্দাইল থানার ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি জানা নেই। ধর্ষণের মতো ঘটনার বিচার সালিসে হয় না। তা ছাড়া সালিসে বিয়ে পড়ানো অন্যায়।’
আরও পড়ুন: