পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নুর আলম (৩০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। ওই যুবক সীমান্তে গরু চোরাকারবারি চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে মোমিনপাড়া সীমান্তের একটি চা বাগানের পাশে ওই যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে প্রেরণ করে।
নিহত নুর আলমের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া বকশিগঞ্জ এলাকায়। তিনি ওই এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাতে নুর আলমসহ কয়েকজন যুবক সীমান্তে গরু আনতে যায়। রাত ১১ টায় ৫ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পায় স্থানীয়রা।
সে সময় আশপাশে খুঁজে কাউকে পাওয়া যায়নি। ভোরে মোমিনপাড়া সীমান্তের ৭৫২ মেইল পিলার এলাকার বাংলাদেশ অংশের একটি চা বাগানের এক কোণে নুর আলমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। তার মাথা রক্তাক্ত ছিলো। বাম গালে গর্ত ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা নাজমুল হক বলেন, মোমিনপাড়া সীমান্তে কাটাতাঁরের বেড়া নেই। তাই চোরাকারবারিরা এই পথকে বেছে নিয়েছে। মাঝে মধ্যেই এই সীমান্তে হত্যা ও গুলির ঘটনা ঘটে। বুধবার রাত সাড়ে ১১ টায় আমরা ৫ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পাই। কিছুক্ষণ পরে বিজিবি একটি গরু আটক করে। তবে তখন কাউকে পাওয়া যায়নি। ভোরে নুর আলমের রক্তাক্ত মরদেহ খুঁজে পাই আমরা। তার গালে গুলি প্রবেশ করে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, সকালে আমরা বেরুবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। তারা বলেছে যে তাদের উপর আক্রমন করেছিল চোরাকারবারিরা। এমনকি তারা জানিয়েছে যে দুইজন চোরাকারবারি মারা গিয়ে থাকতে পারে।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, আমরা ওই যুবকের মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তে প্রেরণ করেছি। তার গালে গুলির চিহ্ন রয়েছে। মাথার পেছনের অংশ জখম হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তা আরো নিশ্চিত করে বলা যাবে।
৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিম বলেন, এ ঘটনায় আমরা পতাকা বৈঠক করে প্রতিবাদ জানিয়েছি। বিএসএফ আমাদের জানিয়েছে যে তারা আত্মরক্ষার কারণে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে। ১০/১২ জন গরু চোরাকারবারি গরু আনার সময় বিএসএফ বাধা দিলে তাদের উপর আক্রমন করে তারা। পরে তারা গুলি চালাতে বাধ্য হয়। আমাদের পরবর্তী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: