লালমনিরহাট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হকের নির্বাচনী জনসভায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি দিয়ে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, ভুল্ল্যারহাটের জনসভায় যে বাজে কথা বলেছে। তাকে সতর্ক করে দিচ্ছি, এ ধরনের বাজে কথা যদি আর কোনো দিন বলো, তোমার ঘাড় মটকে দিব। তুমি এখনও লোক চিন না। তোমার চরিত্রের ঠিক নেই। তুমি কাজের মেয়ের সঙ্গে অসৎ সম্পর্ক গড়ে তুলে নেতা সাজতে চাও?
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার চামটারহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী। এদিকে এ ঘটনার পর দুইজনের ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম গোলাম মর্তুজা হানিফ। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান এবং রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
এর আগে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভুল্ল্যারহাট মাঠে মন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সিরাজুল হকের ঈগল প্রতীকের জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ভোটমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা হানিফ। বক্তব্যে তিনি বলেন, জামান সাহেব (নুরুজ্জামান আহমেদ) ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ৩ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা আজও পাইনি। তিনি এতই টাকাওয়ালা তো আমার ঋণ পরিশোধ করলেন না কেন? এতই যদি ভালো মানুষ হয়। তো সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না কেন?
প্রকাশ্যে জনসভায় ঘাড় মটকে দেওয়ার বিষয়ে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম মর্তুজা হানিফ বলেন, রাষ্ট্রের একজন আইনপ্রণেতা জনসভায় গড ফাদারের মতো বক্তব্য দেবে এটা তো হতে পারে না। নুরুজ্জামান ৯৬ সালের ঘড়ি মার্কার নির্বাচনের সময় আমার কাছে ৩ লাখ টাকা হাওলাত নেন। সেটা নিয়ে কথা বলায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হুমকি দিয়েছেন।
তিনি (মন্ত্রী) এত বড় মাপের মানুষ হয়ে না দেখে একটি মেয়ের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য কেমনে করেন। তিনি কি আমার বাড়িতে ছিলেন যে কাজের মেয়ে সঙ্গে আমার সম্পর্ক তিনি দেখেছেন? তার চরিত্র নিয়ে তো কোন কথা বলি নি। জানি না তা নয়। জনসভায় সব বলা যায় না।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, আমার বয়স হয়েছে, এই বয়সে আমাকে নিয়ে তারা যা তা বলছে। কুরুচিপূর্ণ বক্ত্যব্যের মাধ্যমে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আমার একজন কর্মী তাদের নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করেনি। জনসভায় মানুষ যখন ওই বক্তব্য নিয়ে জানতে চেয়েছেন তখন আমি আর চুপ থাকতে পারিনি।
আরও পড়ুন: