উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস। আর তার সঙ্গে যোগ দেয় ঘন কুয়াশা। এতে করে দিনের বেলায়ও যানবাহনকে লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। রোববার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় দিনাজপুরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৫ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এছাড়া এই মাসে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউ বা আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে। দূরপাল্লার গাড়িগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায়, বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অপরদিকে শীতের কাপড় কেনার ধাক্কা।
ভ্যানচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে আগের মতো যাত্রী পাই না। ঠান্ডার কারণে সকাল ও সন্ধ্যার পর রাস্তায় মানুষ কম আসে। তাই যাত্রী না পেয়ে বেশিরভাগ সময় বেকার হয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। এতে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।
বালুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অটোচালক মফিজুল বলেন, খুব কষ্টে আছি ভাই। এই শীতে ভাড়া নেই। সকাল সকাল মানুষ বের হচ্ছে না ঘরের বাইরে।
ইটভাটার শ্রমিক আব্দুর রহমান বলেন, দুই দিন ধরি ভাটায় যাইনি। শীতল বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে বাসায় বসে আছি। এই ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান ঢাকা এজকে বলেন, রোববার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৬ ভাগ।
আরও পড়ুন: