মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বসুরচর ও চরচার্ষী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বিআইডব্লিউটিএ এর সদস্য মো. মোস্তফা, সাইফুল ইসলাম, উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেওয়া আনসার কমান্ডার আনোয়ার, বিআইডব্লিউটিএর মেডিকেল সদস্য মুন্সি আব্দুল্লাহ, ট্রাফিক সুপারভাইজার শহিদুল ইসলাম, শ্রমিক ইসমাইল, গজারিয়া থানার পুলিশ সদস্য মামুন রানা, আবদুল হাসেম। আহতরা সবাই গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বসুরচর মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে অবৈধভাবে নদী দখল করে একাধিক শিল্প কারখানাসহ শ’ খানেক স্থাপনা গড়ে উঠেছে। রোববার সকালে বসুরচর লঞ্চঘাট থেকে দাউকান্দি সেতু পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। উচ্ছেদ অভিযানে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জোনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ ও মেঘনা জোনের উপপরিচালক শরীফ ইসলাম।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ এর মেঘনা জোনের উপ-পরিচালক শরীফ ইসলাম জানান, প্যাসিফিক শিল্প কারখানার অবৈধ দখল উচ্ছেদ শুরু করা হলে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশসহ ৮ জন আহত হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানে ব্যবহার করা ভেকুতে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বলেন, উচ্ছেদ অভিযান চলার একপর্যায়ে প্যাসিফিক শিল্প কারখানার শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়। এটাকে কেন্দ্র করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ১৩ রাউন্ড গুলি ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় দুইজন পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছে আরও কয়েকজন। শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছে এই কথাটি সঠিক নয়। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:
