নিরাপত্তার কারণে বান্দরবান সদরসহ ছয়টি উপজেলায় সব ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে ব্যাংকগুলো এ সিদ্ধান্ত নেয়। একইসঙ্গে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির ১৯টি এবং খাগড়াছড়ির ৯টি শাখায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সতর্কভাবে লেনদেন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের জিএম (দক্ষিণ) সাইফুল আজিজ গণমাধ্যমকে জানান, ডাকাতির ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের উপজেলা পর্যায়ের ৬টি শাখায় লেনদেন সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার বেলা ১টার দিকে বান্দরবানের থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরও আগে, গতকাল মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রুমায় সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল।
বান্দরবান শাখার সোনালী ব্যাংকের এজিএম মো. ওসমান গণি জানান, কয়েকজন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুরো থানচি বাজার ঘিরে ফেলে এবং ব্যাংকের সামনে এসে গুলি চালিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে চলে যায়।
থানচি উপজেলার ইউএনও মো. মামুন জানিয়েছেন, সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা লুট করা হয়েছে। তবে কৃষি ব্যাংক থেকে কত টাকা লুট করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
বান্দরবানের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
এদিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় ভোল্টের তালা ভেঙে প্রায় ৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতের কোনো এক সময় উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: