রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। টানা তিন ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় শান্ত হয় পরিস্থিতি।
রোববার (১২ মে) রাত ৩টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশ সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান পরিচালনা করে। তবে সেখান থেকে কোনো ধরনের অস্ত্র পাওয়া যায়নি বলে জানান শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধাক্ষ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, আমরা হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে হলে প্রবেশ করি। হলে যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছিল বা যে সংগঠনের শিক্ষার্থীরা ছিল আমরা চেষ্টা করেছি সবার রুমে প্রবেশ করে তল্লাশি করার। এছাড়াও আমরা যে রুমগুলোতে সন্দেহ করেছিলাম অস্ত্র থাকতে পারে, সেগুলো তল্লাশি করে কোনো অস্ত্র পাইনি। ভাঙা ইট বা চেয়ারের ভাঙা হাতল পেয়েছি। কিছু শিক্ষার্থীর রুমে তালা লাগানো ছিল, আমরা ধারণা করছি তারা এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ডাইনিংয়ের ছাদ দিয়ে তারা হলত্যাগ করেছে। হলে বর্তমানে কোনো বহিরাগত নেই।
এদিকে পরিস্থিতি পরবর্তীতে যেন খারাপ না হয় সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করছি এ বিষয়ে। যদি মনে হয় পরিস্থিতি আবারও খারাপ হতে পারে তাহলে রাতে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, এমন একটা ঘটনা ঘটেছে, এটা দুঃখজনক। দুই গ্রুপের মধ্যে ইট-ঢিল ছোড়াছুড়ি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি কীভাবে বিষয়টি সমাধান করা যায়। আমরা দুই পক্ষেরই কথা শুনছি, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে সবসময় সতর্ক। তারপরও একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিছু ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র চার্জ হয়েছে। সেগুলো আমরা শুনেছি ও দেখেছি। তবে হলের মধ্যে যখন আমরা গেলাম তখন এ ধরনের কোনো নমুনা আমরা পাইনি। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে।
পরবর্তীতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তীতে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। অভিযোগটি যে কেউ করতে পারে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে স্বপ্রণোদিতভাবে ছাত্রদের জন্য যেটা ভালো হয় সেটা করবো।
এ বিষয়ে মতিহার থানার ডিসি মধুসূধন রায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন স্বাভাবিক এবং পড়াশোনার পরিবেশ বজায় থাকে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন নির্ভয়ে পড়াশোনা করতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ চাইলেই সহজে এসে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি কোনো সহযোগিতা লাগে আমরা সর্বদা তৎপর। আজকের ঘটনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে একহয়ে কাজ করেছি। এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: