মানব পাচারের অভিযোগে জিসাও সুহুই (৩৪) নামে এক চীনা নাগরিককে আটক করেছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। রোববার (৯ জুন) ভোরে ঢাকার উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
এসময় সেখান থেকে ভিকটিম পাঁচ কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের পাচারের উদ্দেশ্যে আটকে রাখা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত অপর নারী সুমি চাকমা ওরফে হেলি (৩৬) পলাতক রয়েছে।
রোববার (৯ জুন) বিকেলে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
জানা যায়, অভিযুক্ত সুমি চাকমা খাগড়াছড়ির ১৭ বছরের এক ভিকটিমকে চীনে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখায়। সে পানছড়ির মানিককা পাড়ার বঙ্গমিত্র চাকমার মেয়ে। এক পর্যায়ে সে রাজি হয়, এবং তার বান্ধবী একই উপজেলার গোলক বাঁশি চাকমার মেয়েকে (১৬) জানালে, সেও চীনে যেতে রাজি হয়।
সুমির কথা অনুযায়ী, তারা খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকার উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে পৌছায়। সেখানে গেলে অভিযুক্তরা তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং ঘরে আটকে রাখে।
পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, এই ঘটনায় ভিকটিমদের পরিবার থেকে অভিযোগ জানালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়। পরে রোববার ভোরে ঢাকার উত্তরার ওই ফ্ল্যাট থেকে চীনা নাগরিকসহ পাঁচ ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দুই কিশোরী নিখোঁজের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযানে নেমে আরো তিনজনসহ মোট পাঁচজন ভিকটিমকে উদ্ধার করি। উদ্ধার হওয়া পাহাড়ি কিশোরীদের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। তাদের দুইজনের বাড়ি খাগড়াছড়িতে এবং তিনজনের বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলায়। নারী পাচারে অভিযুক্ত সুমি চাকমাসহ সংঘবদ্ধ চক্রটির অন্য সদস্যের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আটককৃত নাগরিককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: