জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন শিক্ষা ক্যাডার বাতিলে যে সুপারিশ করতে যাচ্ছে, তা আগেই প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছে ‘বিসিএস জেনারেল এডুকেশন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন’। একই সঙ্গে এ ক্যাডার বাতিল করলে শিক্ষাখাত ও শিক্ষা প্রশাসনে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংগঠনটির নেতারা।
বুধবার বিসিএস জেনারালে এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাজিব উদ্দিনের সই করা প্রতিবাদলিপিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আমরা জানতে পেরেছি যে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার ও বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারকে কাঠামোর বাইরে রাখার সুপারিশ করতে যাচ্ছে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৬ হাজার সদস্যের একক মুখপাত্র বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন এ সুপারিশ সর্বোতভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। ২০১২ সালে অনুরূপ এক প্রচেষ্টা আমরা প্রতিহত করেছি। বিষয়টি মীমাংসিত।’
এতে আর বলা হয়, ‘সংস্কারের মাধ্যমে সব বৈষম্য নিরসন ও গতিশীল জনবান্ধব জনপ্রশাসন তৈরির লক্ষ্যে গঠিত কমিশনের এ ধরনের সুপারিশ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বৈষম্যবিরোধী মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এ সুপারিশ প্রত্যাহার করা না হলে কার্যকর প্রশাসনিক সংস্কার ব্যর্থ হবে।’
‘কমিশন নেতৃত্ব বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করে এমন প্রস্তাবনা তৈরি এবং গণমাধ্যমে একতরফা প্রচার করা সুবিবেচনা প্রসূত নয়। শিক্ষাখাতে অস্থিরতা তৈরি করে সরকারকে অস্থিতিশীল করার এটি কোনো ষড়যন্ত্র কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষা কার্যক্রম, শিক্ষা প্রশাসন এবং সংস্কার কার্যক্রমে স্থবিরতা আসলে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন কোনো দায় নেবে না।’
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাডার সংকোচন এবং শিক্ষাকে মেধাশূন্য করার এ অপচেষ্টার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এ প্রচেষ্টা বন্ধ করার জোরালো আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন: