ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 

সেন্সর বোর্ড নামের অথর্ব জিনিসটা বাতিল করেন: ফারুকী

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১২, ১৯ আগস্ট ২০২৪

শেয়ার

সেন্সর বোর্ড নামের অথর্ব জিনিসটা বাতিল করেন: ফারুকী

চলচ্চিত্রে সেন্সর বোর্ডের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অনেক সময়ই নির্মাতারা প্রশ্ন তুলেছেন। দেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর যখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার হচ্ছে, তখন চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ড ইস্যুতেও সংস্কার প্রত্যাশা করছেন তারা। এই প্রসঙ্গে নিজের ফেসবুক ওয়ালে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়েছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

সেন্সর বোর্ড সরিয়ে দিয়ে রেটিং সিস্টেম চালু করার ওপর জোর দিয়েছেন ‘টেলিভিশন’, ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’ এর মতো ব্যতিক্রমী চলচ্চিত্রের নির্মাতা ফারুকী। এছাড়া স্পর্শকাতর বিষয়গুলোর জন্য ‘স্পষ্ট ভাষায়’ নীতিমালা প্রণয়ন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে ফারুকী বলেছেন, ‘আপনি কি চান বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে ছবি হোক? মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রক্ষী বাহিনীর অত্যাচার নিয়ে ছবি হোক? আপনি কি চান গুমের মতো নিষ্ঠুর এবং অমানবিক যে কাজটা হাসিনা-জিয়াউল-তারেক সিদ্দিকী মিলে করেছে সেটা নিয়ে ছবি হোক? ব্রিগেডিয়ার আজমি বা ব্যারিস্টার আরমানের হৃদয়বিদারক ঘটনা নিয়ে ছবি হোক? আপনি কি চান আমাদের ইতিহাস নিয়ে আওয়ামী গ্র্যান্ড ন্যারেটিভের বাইরে গিয়ে কেউ ফিল্ম করুক? কেউ তার ছবিতে প্রশ্ন করুক ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানীদের আত্মসমর্পনে আমাদের উপস্থিতি ছিলো না কেনো? অথবা চান উল্টা দিকে কেউ বিএনপি’র ন্যারেটিভের বাইরে গিয়ে ছবি করুক? তাহলে সেন্সর বোর্ড নামক অথর্ব জিনিসটা বাতিল করেন!’

সেন্সরবোর্ড বাতিল করে রেটিং সিস্টেম চালুর পরামর্শ দিয়ে ফারুকী লিখেছেন, ‘একটা রেটিং সিস্টেম চালু করা উচিত, যেখানে বলে দেওয়া হবে কোনটা অ্যাডাল্টদের জন্য, কোনটার প্যারেন্টাল গাইডেন্স লাগবে।’

এক্ষেত্রে কোনো সিনেমায় ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা হলে সেক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে, তার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন ফারুকী, ‘এই বিষয় ঠেকানোর স্পষ্ট বিধান রেখেও নিশ্চয়ই বিধিমালা করা যাবে। কী বিধান রাখতে চান, স্পষ্ট ভাষায় রাখুন। ভেইগ (অস্পষ্ট) টার্মে কিছু রাখা যাবে না, যেটার ব্যাখ্যা একশো রকম হতে পারে এবং এই সুযোগ নিয়ে সরকার কাউকে হয়রানি করতে পারে।’

এছাড়া চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন নিয়ে ফারুকী অনুরোধ, ‘চলচ্চিত্র সেন্সর নীতি সংশোধনের আগপর্যন্ত আপাতত কাজ চালানোর জন্য সেন্সরবোর্ডটা পুনর্গঠন করতে হবে। কিন্তু দয়া করে প্রাগৈতিহাসিক এফডিসির ততোধিক প্রাগৈতিহাসিক পরিচালক বা প্রযোজকদের এই কমিটিতে ঢোকানোর যে আজব অভ্যাস, সেটা থেকে বের হয়ে আসেন। বাংলাদেশের নতুন দিনের ফিল্মমেকাররা প্রত্যেকেই এদের ঈর্ষার শিকার। কমিটিতে সেনসিবল লোকজন নিন। অনুদান কমিটিও একই রকমভাবে দলীয় প্রোপাগান্ডা মেশিনের হাত থেকে উদ্ধার করেন।’

novelonlite28
umchltd