![কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতার ছবি তুফান কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতার ছবি তুফান](https://www.dhakaage.com/media/imgAll/2024June/szssss-01-2406271134.jpg)
ঈদ - উল - আযহায় মুক্তি পাওয়া 'তুফান' ছবিটি নিয়ে একটি চিত্র সমালোচনা লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হোসনে আরা জলি। তিনি তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লেখাটি শেয়ার করেছেন। তুফান ছবি নিয়ে হোসনে আরা জলি'র লেখা সেই চিত্রসমালোচনাটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে হুবহু তুলে ধরা হলো। নাটক এবং সিনেমা এই দুটো দৃশ্যমান মাধ্যম সরাসরি দর্শকদের প্রভাবিত করে। সমাজকে, দেশকে, সর্বোপরি রাষ্ট্রকেও প্রভাবিত করে।
কাজেই এ দু'টো মাধ্যমের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন একটি ভালো গল্প। ভালো গল্পে মন্দ বিষয় থাকতেই পারে, থাকাই স্বাভাবিক। কারণ, ভালো ও মন্দ মিলেই যেহেতু জীবন, সেহেতু গল্পও সেরকম হবে। কিন্তু সেই গল্পের চিত্ররূপ দিতে গিয়ে যদি মন্দটাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় এবং ক্রমাগত মন্দের আস্ফালন ও জয় দেখানো হয়, তাহলে তা ছবির ১৫ বছর বয়সের তুফান চরিত্রের মতো বাস্তবের কিশোরদের ওপর বিশেষ করে বর্তমানে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা কিশোর গ্যাং এর ওপর কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, একবার ভেবে দেখুন!!! সন্ত্রাসী এক চরিত্র তুফানের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর সবাই এবং একটা দেশের সব সেক্টরের সবকিছু নির্ভর করছে!!!!!! মানুষ কিসের ওপর, কার ওপর আস্থা রাখবে ???
যারা যে সেক্টরে যে দায়িত্বে আছে তাদের ওপর নাকি সন্ত্রাসী তুফানের ওপর ? পিতার হত্যাকারীকে নিজের হাতে হত্যা করে শরীর থেকে মাথা আলাদা করে রক্তাক্ত মাথা হাতে নিয়ে দাপটের সাথে হেঁটে যাচ্ছে ১৫ বছরের কিশোর তুফান! কী ভয়ংকর, কী বীভৎস দৃশ্য!!! সিনেমা শেষে অনেককেই বলতে শুনেছি, সেন্সর বোর্ড কি এই দৃশ্যটাও বাদ দিতে পারলো না!!!! মানুষকে সিনেমা হলে ফেরানোর জন্য এমন ছবি বানিয়ে তো আমরা আমাদের এই প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারি না!! তাই নির্মাণ, অভিনয়, বড় বাজেট, বড় ক্যানভাস যত ভালোই হোক - তুফান আমার ভালো লাগেনি।
আমার কাছে মনে হয়েছে অরাজকতা আর নির্বিচারে হত্যার ছবি ‘তুফান’ সন্ত্রাস আর সন্ত্রাসীর জয়জয়কারের ছবি ‘তুফান’।সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করা ও বাঁচিয়ে রাখার ছবি ‘তুফান’।বীভৎস ভায়োলেন্সের ছবি ‘তুফান’। হোসনে আরা জলি ডিন, কলা অনুষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, গীতিকার ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট।
আরও পড়ুন: