ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ 

পরকীয়া প্রেমের অভিযোগে মিহির সংসারে ফাটল!

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৩১, ১০ জুলাই ২০২৪

শেয়ার

পরকীয়া প্রেমের অভিযোগে মিহির সংসারে ফাটল!

ছোট পর্দার অভিনেত্রী মিহি আহসান। ২০১৭ সালে তার অভিনয়ের ক্যারিয়ার শুরু। বর্তমানে তিনি নিয়মিত নাটকে কাজ করছেন। শোবিজে নাম লেখানোর আগে এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণের জন্য ওই ব্যবসায়ী মিহিকে নিয়ে প্রায় ১ ডজনের মতো নাটক প্রযোজনা করেছেন বলে জানা গেছে। গোপনে বিয়ে করে বেশ কয়েক বছর ধরে স্বামী ও সন্তান নিয়ে উত্তরার একটি বাসায় সংসার করছেন মিহি। দুই মাসের পরিচয়ে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল ভালোবেসে বিয়ে করেন মিহি। তার স্বামীর নাম শুভ চৌধুরী (মো. জাহাঙ্গীর কামাল)।

পেশায় ব্যবসায়ী ও প্রযোজক। বিয়ে, স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে মিহির বিভিন্ন সময়ের কিছু ছবি ও ভিডিও হাতে এসেছে। জানা গেছে, মিরপুর থাকাকালীন প্রেমে জড়ান মিহি। সেখানকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন সিনিয়র ভাইয়ের সঙ্গে তার প্রেম হয়। অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন তারা। ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হয় তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। একই বছরের ২১ অক্টোবর তাদের ঘরে জন্ম নেয় পুত্র সন্তান। বর্তমানে তাদের ভালোবাসার বিয়ে ভালো নেই। নাট্যপরিচালক হিমু আকরামের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছেন হিমি, অভিযোগ স্বামীর। যার জন্য প্রায় সময় বিদেশে শুটিংয়ের কথা বলে অবকাশ যাপনে যান অভিনেত্রী-পরিচালক। সর্বশেষ নেপাল ও মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের বচসা হয় বলে জানা গেছে।

মিহির প্রেমিকের তালিকায় আরও আছে এক চলচ্চিত্র নায়ক, নাট্যাভিনেতা ও ক্যামেরাম্যানের নাম। তবে মূল সমস্যা হিমু আকরাম, দাবি অভিনেত্রীর স্বামীর। এর আগে এক চলচ্চিত্র পরিচালকের সঙ্গে মিহির প্রেম ছিল বলে জানা যায়। এসব কেন্দ্র করে কোরবানির ঈদের পর থেকে বেশ জটিলতা দেখা দিয়েছে। মিহির গার্মেন্টস ব্যবসায়ী স্বামী শুভ জানিয়েছেন, স্ত্রী মিহিকে তিনি গাজীপুরে একটি জমি কিনে দিয়েছেন ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে। তাদের ১ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হলেও পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে অনুষ্ঠান হলে তখন মিহির মায়ের চাওয়াতে পুনরায় তাদের দেনমোহর হয় ১ কোটি টাকা। সেসময় মিহিকে ৩০ ভরি অলংকার দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন স্বামী। মিহির স্বামী বলেন, ‘দুই মাসের পরিচয়ে আমরা বিয়ে করি। আমরা মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় পড়তাম। মিহির পরিবার মিডিয়ায় কাজ করায় সাপোর্ট করত না।

তখন মিহি আমার কাছে সহযোগিতা চাইলে সাপোর্ট করি। একটা পর্যায়ে আমরা বিয়ে করি। পরবর্তীতে দুই পরিবার আমাদের বিয়ে মেনে নেয়। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। তবে চলচ্চিত্র পরিচালক রিয়াজুল রিজুর সঙ্গে মিহির প্রেম নিয়ে সংসারে অশান্তির শুরু। শুটিংয়ের কথা বলে রিজুর সঙ্গে রাতে থাকত। যখন বিষয়গুলো জানতে পারি তখন আমাদের মধ্যে ঝামেলা তৈরি হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘নেপালের শুটিং ঘিরেও ঝামেলা তৈরি হয়েছিল। যাহের আলভীর বিপরীতে সেখানে কাজ করে। জানতে পারি সেখানে কিছু ঝামেলা হয়েছিল। দুজনকে ঘিরে মিডিয়ায় অনেক মুখরোচক খবর চাউর রয়েছে। এরপর তাদের একসঙ্গে কাজে দেখা যায়নি। সর্বশেষ পরিচালক হিমু আকরামের সঙ্গে প্রেম নিয়ে সংসারে মূল সমস্যা তৈরি হয়েছে। মিহি হিমু আকরামকে স্বামী বলেও পরিচয় দেয়। ঘটনাটি পরিবারকে জানাই। সে (মিহি) বিভিন্ন জায়গায় বলছে আমাদের ডিভোর্স হয়েছে। এখনো আমাদের ডিভোর্স হয়নি।

সে মিডিয়ায় নিয়মিত কাজ করুক আমার আপত্তি নেই। তবে কারো সঙ্গে সম্পর্কে না জড়াক সেটাই চাওয়া। আমি সংসারটি করতে চাই।’ এ প্রসঙ্গে মিহির সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিয়ে ও সন্তানের কথা শিকার করে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি গত ৩০ জুন, যা কার্যকর হতে ৩ মাস সময় লাগবে। দীর্ঘ সময় ধরে তার সঙ্গে আমার ঝামেলা চলছে। তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি আমার নামে ভিত্তিহীন কথা বলার জন্য। তার নামে সাইবার ক্রাইমে মামলাও করেছি, সেটি তদন্ত চলছে।’ নাট্য নির্মাতা হিমু আকরামের সঙ্গে আপনার প্রেম। প্রায়ই দেশের বাইরে যান এই পরিচালকের সঙ্গে। এ নিয়ে সংসারে ফাটল ধরেছে বলে আপনার স্বামীর অভিযোগ। এটা কতটুকু সত্য? উত্তরে মিহি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। তিনি (স্বামী শুভ) যদি আমার সম্মানের কথা চিন্তা করত তাহলে এ ধরনের কথা বলত না।’ মিহির দাবি তার স্বামী দুবাই পালিয়ে গিয়েছেন। বেশ কয়েকটি মামলার আসামী, যেগুলোর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে শুভর নামে। এমন মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা আমার ও বাচ্চার জন্য খারাপ কিছুই হবে। —বললেন ‘বিবাহবিচ্ছেদ’ নাটকের এই অভিনেত্রী।

চলচ্চিত্র পরিচালক রিয়াজুল রিজু, অভিনেতা জামিল হোসেন, যাহের আলভী, ক্যামেরাম্যান কামরুল ইসলাম শুভর সঙ্গে তার প্রেমের নাম জড়ানো সত্য নয় বলে জানিয়েছেন মিহি। বললেন, ‘কাউকে যখন কিছুতে আটকাতে পারে না তখন এ ধরনের মিথ্যা বানোয়াট কথা ছড়ায়। এই মানুষগুলো যদি তার (শুভ) নামে মানহানি মামলা করে তখন কি করবে? এগুলোর প্রমাণ নেই। কাজ করলেই কি তাদের সাথে প্রেম হয়ে যায়? যদি হয়ে থাকে প্রমাণ করুক। নিজের বদনাম ডাকার জন্য আমার নামে বদনাম করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে মিডিয়ায় কাজ করছি আমার নামে কোনো বদনাম নেই।’ যোগ করে ‘সুন্দরী বউ’ নাটকের মিহি বলেন, ‘সে যদি আমার সঙ্গে সংসার করতে চাইত তাহলে আমার নামে এ ধরনের কথা ছড়াত না। সে দুই বছর ধরে আমার ও সন্তানের খোঁজ নেয় না এবং ভরণপোষণ দেয় না।

তার তো উচিত পরিবার নিয়ে বসে সমাধান করা। অথচ সে নোংরা মানুষের মতো কাজ করছে। অথচ তিনি বিবাহিত সে সব লুকিয়ে আমাকে বিয়ে করেছে। সেই ঘরেও একটি সন্তান আছে। এত কিছু জানার পরও সন্তানের কথা ভেবে ও মায়ার টানে আমি তাকে ছেড়ে যাইনি। যখন জানতে পারি তিনি প্রতারক তখন তার থেকে দূরে সরে যাই। তিনি এমএলএম ব্যবসা করে। তার নামে অনেক মামলা আছে। তিনি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী না।’ মিহির স্বামীর দাবি, স্ত্রীকে নিয়ে প্রায় ১ ডজন নাটক প্রযোজনা করেছেন। তবে স্বামীর প্রযোজনায় মাত্র ১টি নাটকে কাজ করেছেন, ‘তুমি রবে মনে’ নামের নাটকটিতে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বলে জানান মিহি।

অনেক ভেবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফারজানা আক্তার মিহি। ১ কোটি টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়েছিল। ৩০ ভরি অলংকার দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি দেয়নি বলে উল্লেখ করেন এই অভিনেত্রী। যে অলংকার দিয়েছিল সেটি বিয়ের পর স্বামী চুরি করে নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে মিহির অভিযোগ। তবে মিহির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে স্বামী শুভ বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে ব্যবসার কাজে দুবাই আছি ঠিক তবে, আগামী মাসে দেশে আসব। সে যেসব অভিযোগ করেছে সত্য নয়। আমার গার্মেন্টস ব্যবসা আছে। ট্রেড লাইসেন্স আছে। তবে ব্যবসায়িকা একটা চেক নিয়ে মামলা হয়েছিল তা পরবর্তীতে সমাধান হয়েছে।’

novelonlite28
umchltd