নাটোরের গুরুদাসপুরে দুই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে কামরুল হাসান নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পৌরশহরের চাঁচকৈড় নাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনের গলির ভেতর এ ঘটনা ঘটে। তবে গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান দাবি করেন তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, উত্ত্যক্ত করার ঘটনার কোনো সত্যতা পাইনি। তবে কেন ওই পুলিশ সদস্য স্কুলের গলিতে গেল সেটা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্ত্যক্তের শিকার দুই ছাত্রী চাঁচকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য স্কুলে যাচ্ছিল তারা। স্কুলের পেছনের গলির ভেতর যাওয়া মাত্রই দুই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে ওই পুলিশ সদস্য। এক পর্যায়ে হাত ফসকে দৌড়ে পালিয়ে বাঁচে দুই ছাত্রী। পরে বিষয়টি তারা শিক্ষকদের জানায়।
চাঁচকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা পারভিন বলেন, দুই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছে তাদের মুখ চেপে ধরে একজন অপিরিচিত লোক। পরে শিক্ষর্থীদের নিয়ে অভিযুক্তকে আটক করা হয়। পরে লোকজন তাকে মারধর করার সময় অভিযুক্ত নিজেকে পুলিশ সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয়। পরে ভুক্তভোগীদের পরিবারের লোকজন বিষয়টির দায়িত্ব নেয়, পরে কী হয়েছে জানি না।
সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আকতারুজ্জামান বলেন, অপরাধী যদি পুলিশ সদস্য হয় তবে তাকে অপরাধী হিসেবেই গণ্য করা হবে। পুলিশ সদস্য হওয়ার কারণে কেউ কোনো ছাড় পাবে না। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: