নেপালের অনেক নারীকেই চীনে পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় নেপালিদের যোগসাজশে চীনা পাচারকারীরা মানবপাচার করছে বলে দ্য ডিএমএন নিউজ জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা নাগরিকদের সঙ্গে বিয়ের কথা বলে নেপালি নারীদের প্রভাবিত করছে কিছু এজেন্ট। পরে তাদের মানসিক, শারীরিক এবং যৌন নিপীড়ন করা হচ্ছে। এছাড়া চীনে তাদের যৌনকাজে বাধ্য করা হচ্ছে।
তেমনই ভুক্তভোগী সমঝোনা। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের এ মেয়েটি হাইস্কুলের পাঠ শেষ করে থামেলের একটি ক্যাফেতে কাজ শুরু করেন। একদিন পরিচিত একজন তার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসেন এক চীনা নাগরিকের সঙ্গে। শুরুতে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন সমঝোনা।
পরে তাকে উন্নত জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নানাভাবে প্রলুব্ধ করা হয়। ভালো আর্থিক অবস্থার স্বপ্নও দেখানো হয়। তাকে বলা হয়েছিল বিয়ের পাঁচ বছর তিনি চীনের নাগরিকত্ব পাবেন। পরবর্তীতে থামেলের একটি রেস্তোরাঁয় সেই চীনা ব্যক্তি ও তার পরিবারের সঙ্গে সমঝোনা দখো করেন। তাকে বলা হয়েছিল চীনে যাওয়ার জন্য তাকে বিয়ে করতে হবে। সে অনুযায়ী তারা ২৭ মার্চ বিয়ে করেন।
এরপর তারা ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে চীনে যান। সমঝোনাকে নেওয়া হয় চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় জিংতাইতে। প্রথম দিকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক ছিল। তবে ১০-১২ দিন পর তার স্বামী তাকে ‘জোর করে’ যৌন সঙ্গম করেন।
সমঝোনা জানান, ওই ব্যক্তি যৌন উত্তেজক বড়ি সেবন করতেন এবং দিনে পাঁচ-ছয়বার তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। প্রতিরোধ করলে বিষয়টি আরও খারাপ হয়। পরে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়।
সমঝোনার ভাষ্য, তিনি আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচেও ফেরেন। পরে তিনি জানতে পারেন, পতিতাবৃত্তির জন্য সমঝোনাকে ৫ লাখ রুপিতে কিনেছিলেন তার কথিত স্বামী। পরে বেইজিংয়ে নেপাল দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর চীন থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
সমঝোনার এমন অনেক ভুক্তভোগীই কথা বলেছে দ্য ডিএমএন নিউজের সঙ্গে। তারা তাদের জীবনের লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: