ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ 

হঠাৎ এরদোগান-ব্লিংকেন বৈঠক, যে আলোচনা হলো

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৫৬, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শেয়ার

হঠাৎ এরদোগান-ব্লিংকেন বৈঠক, যে আলোচনা হলো

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন সিরিয়া নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।  

সিরিয়ায় যখন তুরস্কের সমর্থিত বিদ্রোহীদের সঙ্গে মার্কিন মদতপুষ্ট বাহিনীর সংঘর্ষ হচ্ছে, তখন এই বৈঠক হলো। 

সিরিয়ার পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যাতে একযোগে কাজ করে সেই বিষয়ে জোর দিয়েছেন দুই নেতা বলে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বলা হয়েছে। 

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক যাতে সিরিয়ার রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করে তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

কুর্দিদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স মার্কিন জোটের সমর্থন পাচ্ছে। এ বাহিনীর নেতৃত্বে আছে পিপলস প্রোটেকশন গ্রুপ (ওয়াইপিজি)। তুরস্ক মনে করে, ওয়াইপিজি হলো কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে যুক্ত সংগঠন।

তুরস্কে যাওয়ার আগে ব্লিংকেন বলেছেন, ‘পিকেকে হলো তুরস্কের বিপদের কারণ। তবে একইসঙ্গে আমরা সিরিয়ার ভেতরে বিরোধ এড়াতে চাই। আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকার মসৃনভাবে গঠিত হোক এবং তারা ভালোভাবে কাজ করুক।’

ব্লিংকেনের সঙ্গে জর্ডনের রাজার আলোচনা

বৃহস্পতিবার জর্ডনের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন ব্লিংকেন। সেখানে তারা সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন। দুজনেই সিরিয়াকে সুরক্ষিত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।

ব্লিংকেনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘এই পরিবর্তনের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডনসহ সিরিয়ার অন্য প্রতিবেশী দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিরিয়া নিয়ে অনেকের সত্যিকারের স্বার্থ আছে। এখন নতুন করে যাতে কোনো সংঘাত না হয়, সেটা দেখা খুবই জরুরি।’

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের সাম্প্রতিক আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে ব্লিংকেন বলেছেন, ‘নেতানিয়াহুর মত হলো, সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করা দরকার। সিরিয়ার সেনা যে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র ফেলে রেখে গেছে, সেগুলি যেন ভুল মানুষের হাতে না পরে।’

জর্ডনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ জানিয়েছেন- জর্ডন সিরিয়ার মানুষের পছন্দকে সম্মান করে। সিরিয়া ও তাদের নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি এটাও বলেছেন, গাজায় সম্পূর্ণ শান্তি আনাটা খুবই জরুরি।  তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে

novelonlite28
umchltd