ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প বিশ্ববাজারে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। আয়তনের দিক থেকে এর অবস্থান তৃতীয়, আর মূল্যের দিক থেকে ১৪তম।
বৈশিক ওষুধ শিল্পের বাজারে এই আয়তন ও মূল্যের মধ্যে যে পার্থক্য, তার ভারতকে সাশ্রয়ী মূল্য ও উচ্চমানের জেনেরিক ওষুধের উত্পাদক হিসেবে ভারতের ভূমিকাকে তুলে ধরে। এটি ভারতকে ‘বিশ্বের ফার্মেসি’ হিসেবে গড়ে তুলছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতের ওষুধ শিল্পের মোট বাজারমূল্য ৫০ বিলিয়ন ডলার। খাতটি ভারতের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ, যা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল বাজার অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও রপ্তানি দুভাগে বিভক্ত। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে ব্যবহৃত ওষুধের মূল্য ২৩.৫ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে এ সময়ে ভারত বিদেশে রপ্তানি করেছে ২৬.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ওষুধ। এই পরিসংখ্যান ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা পূরণের পরও ওষুধ রপ্তানি ক্ষমতায় দেশটির সক্ষমতার জানান দেয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মতো উন্নত বাজারসহ দুই শতাধিক দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানি করে ভারত। দেশটি বিশ্বব্যাপী জেনেরিক ওষুধের বৃহত্তম সরবরাহকারী। একাই বিশ্বের জেনেরিক ওষুধের চাহিদার ২০ শতাংশ সরবরাহ করে ভারত।
ভারতীয় কোম্পানিগুলো সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান তৈরিতেও এগিয়ে রয়েছে, যা ওষুধ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। বিশ্বের ভ্যাকসিনের চাহিদার প্রায় ৫০ শতাংশ ভারত সরবরাহ করে থাকে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী ফার্মাসিউটিক্যাল হাব হিসাবে দেশটির খ্যাতি আরও বাড়িয়ে তুলছে।
ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প ঐতিহাসিকভাবে তার জেনেরিকের জন্য পরিচিত। তবে উদ্ভাবন ও গবেষণার ওপর তারা সব সময় জোর দিয়েছে। কোম্পানিগুলো নতুন রাসায়নিক সত্তা, বায়োসিমিলার এবং নতুন ড্রাগ ডেলিভারি সিস্টেম বিকাশে বিনিয়োগ করছে।
সাম্প্রতিক বছরে ভারতীয় সংস্থাগুলো জটিল জেনেরিক এবং জীববিদ্যায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। উদাহরণস্বরূপ, তারা ক্যান্সার, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য বায়োসিমিলার তৈরি করেছে, যা ব্যয়বহুল জৈবিক থেরাপির সাশ্রয়ী বিকল্প প্রদান করে। সূত্র : টাইমস অব ওমান
আরও পড়ুন: