গোয়াদরে ইরান সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় চালুর দাবিতে সর্বদলীয় জোটের ব্যানারে কর্মী-সমর্থকরা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে মেরিন ড্রাইভে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন। সীমান্ত বন্ধ থাকায় গোয়াদরের অর্থনীতি অচল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
প্রতিবাদকারীদের দাবি, সীমান্ত বাণিজ্য গোয়াদরের বাসিন্দাদের জীবিকার প্রধান উৎস। সীমান্ত বন্ধ থাকায় অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছেন। কান্তানি হোর সীমান্তে টোকেন ব্যবস্থা বাণিজ্যের প্রধান অন্তরায় বলে অভিযোগ তাদের। এই ব্যবস্থার ফলে আঞ্চলিক বেকারত্ব বেড়েছে বলেও দাবি তাদের। তারা টোকেন ব্যবস্থা বাতিল ও সীমান্তে অবাধ বাণিজ্য চালুর দাবি জানিয়েছেন।
সিপিইসি’র গুরুত্বপূর্ণ নগরী গোয়াদরে বিদ্যুৎ ও পানির তীব্র সংকটের অভিযোগও করেছেন প্রতিবাদকারীরা। তালার চেকপোস্টে পাকিস্তান কোস্ট গার্ড স্থানীয়দের তেলবাহী গাড়ি আটকে রাখায় সেগুলো হাইওয়েতে পড়ে আছে বলেও অভিযোগ তাদের। এতে অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে তারা দাবি করেছেন।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মীর রহমত সালেহ বালোচ অবস্থান কর্মসূচীতে সমর্থন জানিয়ে মাকরান বিভাগের (তুরবাত, গোয়াদর, পাঞ্জগুর) জনগণকে জীবিকা থেকে বঞ্চিত করার জন্য সরকারি নীতির সমালোচনা করেছেন। সীমান্ত বাণিজ্যে কঠোরতা আরোপ ও পণ্য পরিবহনে সীমাবদ্ধতা আরোপের মাধ্যমে সরকার আর্থিক সংকট সৃষ্টি করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
‘ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যের ওপর কঠোরতা আরোপের কারণে এ অঞ্চল অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পড়েছে,’ বলেন মীর রহমত সালেহ। পাঞ্জগুর থেকে পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে তুরবাত ও গোয়াদরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সরকারের প্রতি সীমান্ত খুলে দেওয়ার ও বাণিজ্যের উপর কঠোরতা উঠিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মীর রহমত সালেহ বালোচ সকল রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের সর্বদলীয় জোটের দাবি সমর্থন ও অবস্থান কর্মসূচীতে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিবাদকারীরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে: ইরানের সঙ্গে সীমান্ত পুনরায় খোলা, টোকেন ব্যবস্থা প্রত্যাহার এবং গোয়াদরের বিদ্যুৎ ও পানির সমস্যার সমাধান
আরও পড়ুন: