আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। খামা প্রেস, তালেবান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গত ২৪ ডিসেম্বর বারমাল জেলায় এই হামলায় এখন পর্যন্ত ছয়জন আহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
তালেবান কর্তৃপক্ষ এই বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং দাবি করেছে, হামলায় ‘ওয়াজিরিস্তানি শরণার্থী’রাও আক্রান্ত হয়েছে। তারা কেবল জঙ্গিরাই লক্ষ্যবস্তু ছিল – পাকিস্তানের এই দাবিকে অস্বীকার করেছে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে খামা প্রেস জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে এই বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করছে। তাদের দাবি, এতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহত এবং টিটিপি-এর চারটি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।
তালেবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খোয়ারাজমি পাকিস্তানের দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি এক্স-এ পোস্ট করেছেন যে, বিমান হামলায় ‘বেশিরভাগ ওয়াজিরিস্তানি শরণার্থী’ নিহত হয়েছে। খোয়ারাজমি আরও বলেছেন, হামলায় ‘বেশ কয়েকজন শিশু এবং অন্যান্য বেসামরিক নাগরিক শহীদ ও আহত হয়েছে’।
ওয়াজিরিস্তানি শরণার্থীরা হলেন বেসামরিক নাগরিক যারা পাকিস্তানের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সামরিক অভিযানের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। তবে পাকিস্তান দাবি করে যে, অনেক টিটিপি কমান্ডার এবং যোদ্ধা আফগানিস্তানে পালিয়ে গেছে।
এই সহিংসতার ঘটনায় আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে এবং তালেবান প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানি তালেবান বা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর হামলা বৃদ্ধি করেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগান তালেবান এই জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: