ঢাকা শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ 

জাল সার্টিফিকেটে চাকরি: পিআইএ’র ৪ কর্মী কারাগারে

ঢাকা এজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:৩০, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

শেয়ার

জাল সার্টিফিকেটে চাকরি: পিআইএ’র ৪ কর্মী কারাগারে

পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) দুই পাইলট, একজন বিমানবালা এবং একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি পাওয়া বা পদোন্নতির কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে ‘আদালত উঠা পর্যন্ত’ কারাদণ্ড এবং জরিমানা করেছেন।

ডন পত্রিকার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) ৪৫৭ জন পিআইএ কর্মীর বিরুদ্ধে জাল সনদে নিয়োগের অভিযোগে মামলা করে। এর মধ্যে এই চারজনকে চাকরিচ্যুত বা অবসরে পাঠানো হয়েছিল।

প্রাথমিকভাবে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে আগাম জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু বিচারক তানভীর আহমেদ শেখের আদালতে অভিযোগ গঠনের পর, তারা স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে চান। বিচারক তাদেরকে সতর্ক করে জানিয়েছিলেন যে, এই স্বীকারোক্তি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে। তবুও তারা স্বীকারোক্তি দিতে ইচ্ছুক ছিলেন।

অভিযুক্তদের মধ্যে নাজিয়া নাহিদ ২০০১ সালে জাল বিএ ডিগ্রি দিয়ে বিমানবালা হিসেবে পাঁচ বছরের চুক্তিতে নিযুক্ত হন। ২০১৪ সালে তার জালিয়াতি ধরা পড়লে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

মোহসিন আলী ২০০৬ সালে সহ-পাইলট পদে জাল বিএ ডিগ্রি ব্যবহার করেন, যেখানে যোগ্যতা ছিল ইন্টারমিডিয়েট পাশ। ২০১৪ সালে তাকেও চাকরিচ্যুত করা হয়।

আরিফ তারা ১৯৭৯ সালে পিয়ন হিসেবে পিআইএ-তে যোগ দিয়ে পরে জাল এফএ ডিগ্রি ব্যবহার করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হন। ৩৯ বছর চাকরি করার পর ২০১৮ সালে অবসর নেওয়ার পরে ২০২২ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।

ক্যাডেট পাইলট হিসেবে ১৯৯৫ সালে যোগদানকারী কাশান আইজাজ ডোধি জাল বিএসসি ডিগ্রি ব্যবহার করেন। যোগ্যতা এফএসসি থাকলেও, ‘অতিরিক্ত যোগ্যতা দেখানোর জন্য’ বিএসসি ডিগ্রি ব্যবহার করেন বলে স্বীকার করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

novelonlite28
umchltd