![মার্কিন সিদ্ধান্তে পাকিস্তানে ৬০ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধের আশঙ্কা মার্কিন সিদ্ধান্তে পাকিস্তানে ৬০ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধের আশঙ্কা](https://www.dhakaage.com/media/imgAll/2025February/Healthcare-in-Pakistan-1030x687-2502080854.jpg)
আমেরিকার বৈদেশিক সাহায্য কর্মসূচি স্থগিত করার প্রভাবে পাকিস্তানে ৬০টিরও বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ, যাদের মধ্যে ১২ লাখ আফগান শরণার্থী রয়েছে, তারা জরুরি প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি পরিচালনা করছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনপি)। ইউএনপি’র এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পিও স্মিথ এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে ইউএনপি’র গুরুত্বপূর্ণ সেবা বন্ধ হলে লক্ষ লক্ষ নারী ও শিশু প্রাণঘাতী ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।
৯০ দিনের জন্য প্রায় সকল মার্কিন বৈদেশিক সাহায্য কর্মসূচি স্থগিতের মার্কিন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনপি দক্ষিণ এশিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে নারী ও মেয়েদের জীবন রক্ষাকারী সেবা স্থগিত করেছে বলে জানান স্মিথ।
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এটি কেবল পরিসংখ্যানের বিষয় নয়, এটি বাস্তব জীবনের বিষয়। এরা আক্ষরিক অর্থেই বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ।’
আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে অত্যাবশ্যকীয় সেবা অব্যাহত রাখতে ইউএনপি’র ২০২৫ সালে ৩০৮ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ প্রয়োজন বলে জানান আঞ্চলিক পরিচালক।
ওয়াশিংটন ঘোষণা করেছে, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউএসএআইডি-এর সকল সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের বিশ্বব্যাপী প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্দিষ্ট কর্মী, মূল নেতৃত্ব এবং বিশেষভাবে মনোনীত কর্মসূচির কর্মীদের ছুটিতে পাঠানো হবে না।
‘নীচ থেকে উপরে’ পর্যালোচনা'
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার জানিয়েছেন, ‘নীচ থেকে উপরে’ একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোন প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন অব্যাহত থাকবে। এর আগে মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)-এর অধিকাংশ বিদেশি কর্মীকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গুয়াতেমালা সফররত রুবিও জোর দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অনিচ্ছা সত্ত্বেও ইউএসএআইডি কর্মীদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোন প্রকল্পগুলো অর্থায়নের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং তাই এর ব্যতিক্রম করা উচিত তা শনাক্ত করার জন্য আমাদের 'উপর থেকে নীচে' পদ্ধতির পরিবর্তে 'নীচ থেকে উপরে' পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে।’
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, তহবিল পর্যালোচনা করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের অনুরোধে ইউএসএআইডি সাড়া দেয়নি।
আরও পড়ুন: