![পাকিস্তান থেকে আফগান শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা পাকিস্তান থেকে আফগান শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা](https://www.dhakaage.com/media/imgAll/2025February/19115339507554b-2502120412.jpg)
পাকিস্তান সরকার ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি থেকে নিবন্ধিত আফগান শরণার্থীদের সরিয়ে নিয়ে ধীরে ধীরে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। ডন পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কর্তৃপক্ষকে কোনো প্রকাশ্য ঘোষণা ছাড়াই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সভাপতিত্বে একাধিক বৈঠকে এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরও এসব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম ধাপে, আফগান সিটিজেন কার্ডধারী (এসিসি) আফগান নাগরিকদের ‘অবিলম্বে’ ইসলামাবাদ এবং রাওয়ালপিন্ডি থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে, প্রুফ অব রেজিস্ট্রেশন কার্ডধারীদের (পিওআর) সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে, তাদের তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হবে না। মন্ত্রিসভা পিওআর-ধারী আফগানদের জুন পর্যন্ত দেশে থাকার অনুমতি দিয়েছে। তৃতীয় ধাপে, তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের অপেক্ষায় থাকা আফগানদের ৩১ মার্চের মধ্যে ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বিদেশ মন্ত্রণালয় দূতাবাস এবং অন্যান্য বৈশ্বিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করবে। যেসব আফগানদের তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসন করা যাবে না তাদেরও আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হবে।
ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে কতজন আফগান বাস করে তা স্পষ্ট নয়। তবে, এই সিদ্ধান্ত শরণার্থীদের জন্য জটিলতা সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানান্তর এবং বহিষ্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নেতৃত্ব দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গোয়েন্দা সংস্থা, আইবি এবং আইএসআই, এর ওপর নজর রাখবে।
আফগান শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান
পাকিস্তানে অবৈধভাবে বসবাসকারী আফগান শরণার্থীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সরকারের দাবি, লাখ লাখ আফগান অবৈধভাবে দেশটিতে বসবাস করছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৫ হাজার ৯৯১ জন আফগানকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) এই জোরপূর্বক প্রত্যাবাসনের তীব্র সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দায়ের করেছে। ৭ জানুয়ারি, বিচারপতি আমিন-উদ-দীন খানের নেতৃত্বে সাত বিচারকের একটি বেঞ্চ আবেদনটির শুনানি করে। শুনানিতে ফেডারেল সরকার আদালতকে আশ্বস্ত করে যে, পিওআর বা এসিসিধারী সকল নিবন্ধিত আফগান শরণার্থীদের আইনি সুরক্ষা প্রদান করা হবে এবং তাদের গ্রেপ্তার বা বহিষ্কার করা হবে না।
তবে, আইওএম এর একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিসেম্বরের শেষ দুই সপ্তাহে ইসলামাবাদে শত শত আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তার ও আটক করা হয়েছে। এই তথ্য দৈনিক ডন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: