ঢাকা বুধবার, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ 

‘আ.লীগের মতো লজ্জাজনক বিদায় অতীতে কারও হয়নি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ৬ জানুয়ারি ২০২৫

শেয়ার

‘আ.লীগের মতো লজ্জাজনক বিদায় অতীতে কারও হয়নি’

আওয়ামী বাকশালীরা ক্ষমতায় থাকার জন্য জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে প্রায় ২ হাজার মানুষকে হত্যা করে দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরে মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে মিরপুর পূর্ব থানা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না। তারা অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করে গদিতে থাকার জন্য যা ইচ্ছা তাই করেছে। তাই তাদের বিদায়টাও মোটেই সম্মানজনক হয়নি। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় এমন লজ্জাজনক বিদায় অতীতে কারোরই হয়নি। আর যারা এভাবে একবার বিদায় নিয়েছে তারা আর কখনোই দৃশ্যপটে ফিরে আসতে পারেনি বরং তাদের ইতিহাসের আস্তাকূঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের পতিত স্বৈরাচার আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিচ্ছে। নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি উপস্থিত সুধীদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে জানতে চান, যারা অকারণে মানুষ হত্যা করেছে তাদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না? তিনি অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনের দাবি ছিল খুবই যৌক্তিক। কিন্তু তারা বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে সমাধান করতে চায়নি বরং রাষ্ট্রীয় শক্তির অপব্যবহার করে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে। মূলত তারা অতি ছোট দাবিকে উপেক্ষা করতেই হাজার হাজার মানুষ খুন করে নির্মম পাশবিকতার পরিচয় দিয়েছে। তারা শুধু আবু সাঈদ বা মুগ্ধের মতো ছাত্রদের নয় বরং সকল শ্রেণি ও মানুষের ওপর নির্মমভাবে গুলি চালিয়েছে।

জামায়াত আমির বলেন, আওয়ামী অপশাসন-দুঃশাসনে রাষ্ট্রের সকল সেক্টর ধ্বংস করা হয়েছে। তারা ব্যাংক-বীমাসহ অর্থনৈতিক সকল প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। মূলত তারা জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের কথা বলে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে নিয়েছেন। জনগণ তাদের এমন অপশাসন ও দুঃশাসনে ফিরতে চায় না।

থানা আমির শাহ আলম তুহিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ওয়াহিদুল ইসলাম সাদীর পরিচালায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, মহানগরীর সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

novelonlite28
umchltd