ঢাকা রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 

সামনের রাস্তাটি এত মসৃণ হবে না: নাহিদ

ঢাকা এজ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শেয়ার

সামনের রাস্তাটি এত মসৃণ হবে না: নাহিদ

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম অর্থনৈতিক সংগ্রাম এবং একটি সদা বিকশিত রাজনৈতিক পরিবেশসহ বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অন্তর্বর্তী সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।তবে সামনের রাস্তাটি এত মসৃণ হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বর্তমান সরকারের ছয় মাস পূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসসকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘স্থিতিশীলতা ও ঐক্য বজায় রাখা এবং চাপ মোকাবিলায় নিরন্তর প্রচেষ্টার পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সর্বদা বিকশিত জাতীয় দৃশ্যপটের মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠে দেশের জনগণের ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে এমন একটি ভবিষ্যত গঠনে অবিচল রয়েছি।’

উপদেষ্টা বলেন, গত ছয় মাসে সরকারের পথচলা অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা, শতাধিক আন্দোলন পরিচালনা, অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি ক্রমাগত রাজনৈতিক চাপের মুখোমুখি হওয়াসহ বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতার মধ্যদিয়ে গেছে।

প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও নাহিদ ইসলাম বিশ্বাস করেন যে, অব্যাহত সংলাপ, সহযোগিতা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার মাধ্যমে গত বছরের ৮ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা ছয় মাস বয়সি সরকার জাতি যে পরিবর্তন চেয়েছিল- তা অর্জন করতে পারবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করা নাহিদ ইসলাম বলেন, সামনের রাস্তাটি এত মসৃণ হবে না। তবে সঠিক সমর্থনসহ অন্তর্বর্তী সরকার দেশের জন্য আরও স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপনের আশা করে।

নাহিদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সরকারের ওপর দেশের মানুষ বিপুল প্রত্যাশা রাখায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, খুনিদের বিচার নিশ্চিত করা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির মতো অর্থনৈতিক বিষয়গুলো সরকার পরিচালনায় জনসাধারণের উদ্বেগের প্রধান ক্ষেত্র।
সরকার ব্যাপক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে- স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন বিশৃঙ্খলা ছিল। আমলাতন্ত্র ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছিল এবং আমাদেরকে সেখান থেকে তাদের পুনর্গঠন করতে হয়েছিল। এটা সহজ কাজ ছিল না।’

নাহিদ বলেন, ‘আগের প্রশাসনের চর্চা, বিশেষ করে ব্যাপক চাঁদাবাজি এবং দুর্নীতি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা তৈরি করেছিল, যা রাতারাতি দূর করা যাবে না।’
রাজনৈতিক বিষয়ে নাহিদ গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির মধ্যে যে বিভেদ দেখা দিয়েছে সেসব নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন ‘যদিও অভ্যুত্থান সংস্কারের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে একত্রিত করেছিল, তবে অনেকেই জাতীয় কল্যাণের পরিবর্তে নিজেদের স্বার্থের পেছনে ছুটতে শুরু করেছিল।’

হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই বিভক্তির কারণে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে, বিশেষ করে রাজনৈতিক ঐক্যের ক্ষেত্রে অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, একসময় যে ঐক্য ছিল তা ক্ষীণ হয়ে গেছে। এই সংহতির অভাব সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
 

novelonlite28
umchltd