নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসলে তফসিল পরিবর্তন করা হবে। ২০১৮ সালেও এটি হয়েছে। তখন বিএনপি পরে নির্বাচনে এসেছে আমরা তফসিল পরিবর্তন করেছি। যদি সেরকম হয়, সেটা অবশ্যই বিবেচনা করব। এর জন্য আমাদের সুযোগ আছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষের সামনে নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিছুর রহমান বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন কর। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আমাদের দায়িত্ব নয়। এটা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব বা যারা প্রার্থী হবেন তাদের দায়িত্ব। ভোটার যাই উপস্থিতি হোক আমরা সেটাকে ফলাফল হিসেবে নেব এবং সেটাকেই ফলাফল হিসেবে ঘোষণা করবো। ভোটার কম হোক বেশি হোক সেটা বিষয় নয় তবে ভোটারের উপস্থিতি বেশি হলে আমরা বেশি সন্তুষ্ট হবো। সভা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচন করার লক্ষ্যে যা যা করণীয় তার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদিও এখন একটা রাজনৈতিক পরিস্থিতি আছে। তারপরও আমরা একটা ভালো ভোট করতে চাই। প্রত্যেকে প্রত্যেকের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন। বিশেষ করে যারা প্রিসাইডিং অফিসার তাদেরকে এলার্ট করে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি নির্বাচনে না আসলে ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, ভোটার যদি আসে তাহলেই তো অংশগ্রহণমূলক হইলো। আমাদের সাথে ৪৪টা রাজনৈতিক দল আছে। আমরা বারবার তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি, কেউ কেউ আসছে আবার কেউ আসে নাই। কেউ নির্বাচনে আসবে কি আসবে না এটা তাদের বিষয়। আমাদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। আমাদের প্রয়োজন ভোটার। কার কত শতাংশ ভোট সেটাও আমাদের বিবেচ্য বিষয় না। আমাদের কাজ ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা। বিদেশিদের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই যত বেশি বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকবে তত বেশি নির্বাচনটি সুন্দর গ্রহণযোগ্য বলে মনে হবে। এক্ষেত্রে আমরা তাদের অংশগ্রহণের কথা বিবেচনা করে আবেদনের বিষয়টি ২৬ নভেম্বরের পরিবর্তে ৩০ নভেম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সেটি আবার সাত ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আমাদের তো চোখ দুইটা তাই। এর বেশি দেখার সুযোগ নাই। তাই যত বেশি চোখ থাকবে তাহলে ততো বেশি আমরা তাদের চোখে দেখতে পারবো। ভোট ভালো হয়েছে নাকি মন্দ হয়েছে সেটি বুঝতে পারবো।
এ সময় চট্টগ্রামের বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মঞ্জুরুল হাসিব, নির্বাচন কমিশনের উপসচিব শাহ মো. কামরুল হুদা, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, ৪ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল রফিকুল হাসান, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক আবু তাহের মো. পারভেজ, র্যাব-১১ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান, নোয়াখালীর সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিনসহ প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: