কারফিউ শিথিলে যখন বসবে যে আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ১২:৪৩ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২৪ বুধবার | আপডেট: ১১:৫০ এএম, ২৫ জুলাই ২০২৪ বৃহস্পতিবার

সর্বোচ্চ আদালত (আপিল বিভাগ), উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) ও অধস্তন আদালতের বিচার ও প্রশাসনিক কাজের সময় সংক্রান্ত নির্দেশনা এসেছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা এ বিষয়ে তিনটি পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।

আপিল বিভাগের বিচার ও প্রশাসনিক কাজের সময় সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর এলাকায় সান্ধ্য আইন (কারফিউ) শিথিলের শুরুর সময় থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত বিচারকাজ চলবে। কারফিউ সকাল ৯টার আগে শিথিল হলে আপিল বিভাগের বিচারকাজ ৯টা থেকে শুরু হবে।]

তবে কারফিউ শিথিল না থাকলেও অর্থাৎ কারফিউ চলার মধ্যেও আপিল বিভাগের সব দপ্তর, শাখা খোলা থাকবে। কিন্তু সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে আপিল বিভাগের সব দপ্তর, শাখায়ও সাধারণ ছুটি থাকবে।

হাইকোর্টের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সান্ধ্য আইন (কারফিউ) শিথিলের সময় থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ চলবে। দুপুর সোয়া ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিরতি থাকবে।

কারফিউ সকাল সাড়ে ১০টার আগে শিথিল হলে হাইকোর্টের বিচারকাজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে। তবে কারফিউ চালু থাকলেও হাইকোর্টের সব দপ্তর, শাখা খোলা থাকবে। সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে এ বিভাগের দপ্তর ও শাখায় সাধারণ ছুটি থাকবে। আর অধস্তন আদালতের বিচারকাজ চলার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিচারক (মুখ্য বিচারিক হাকিম ও মহানগর এলাকার ক্ষেত্রে মুখ্য মহানগর হাকিম) সান্ধ্য আইন (কারফিউ) শিথিলকালীন অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সময় নির্ধারণ করে আদালতের বিচারকাজ পরিচালনা করবেন।

তবে আদালতের বিচারকাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে বিচারক, আদালতের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের যাতায়াতসহ আদালত ভবনের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণ ছুটি থাকলে মুখ্য বিচারিক হাকিম ও মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এক বা একাধিক হাকিমকে (ম্যাজিস্ট্রেট) সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি জারির পর সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আজ (বুধবার) আপিল বিভাগ সকাল ১০টায় এবং হাইকোর্ট বিভাগ সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারকাজে বসবেন।