রংপুরে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি ফিরছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১১:৩৬ এএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:০১ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রংপুরে গতি ফিরতে শুরু করেছে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমে। হাইকমান্ডের নির্দেশে দুঃসময়ে যারা দলের হাল ধরেছিলেন এমন ত্যাগী নেতাদের দিয়ে ঢেলে সাজানো হচ্ছে কমিটি। তাদের প্রত্যাশা, জাতীয় নির্বাচনে এবার রংপুর বিভাগে ব্যাপক জনসমর্থন পাবে বিএনপি।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ আমলে দমনপীড়নের কারণে সারা দেশের মতো রংপুরেও প্রভাব পড়ে বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনগুলোর কার্যক্রমে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর ফিরতে শুরু করে সাংগঠনিক গতি। এরইমধ্যে কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে শক্তিমত্তা জানান দিয়েছে দলটি।
গত ১৬ বছর নানামুখী চাপে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ঢিলেঢালা চললেও এখন তা কাটিয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু বলেন, বিএনপি খুব সতর্কতার সঙ্গে চলছে। যারা বিগত দিনে ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন বা সুবিধাভোগী ছিলেন, তারা নৌকা ছেড়ে ধানের ক্ষেতে চলে এসেছেন, এ রকম যেন না হয়।
রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামজুজ্জামান সামু বলেন, ‘আমাদের দলীয় কর্মকাণ্ড চলছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে কথা বলে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার কাজ করা হচ্ছে।’
শুধু রংপুর জেলায় গত ১৬ বছরে বিএনপির ২০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে ১৭৮টি। আর বিভাগে মামলার সংখ্যা হাজারের বেশি। নেতাদের দাবি, ব্যাপক জনসমর্থন থাকায় বিভাগের বেশিরভাগ আসনে একচ্ছত্র আধিপত্য থাকবে বিএনপির।
নীলফামারী জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, ‘দলের ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। চেয়ারপাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী, আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন্নবী টিটুল বলেন, জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে বিএনপি পদক্ষেপ নিয়েছে। সেই পদক্ষেপগুলো সফল হয়েছে। ফলে জনগণের কাছে এখন সুস্পষ্ট যে বিএনপির দ্বারাই এ দেশ উন্নত করা যাবে।
সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে জেলা, ‘উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়েও দলকে ঢেলে সাজানোর কথা জানান নেতারা। একইসঙ্গে, অন্তবর্তী সরকারের কাছে চান নির্বাচনী রোডম্যাপ।’
রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু বলেন, ‘সব উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, আগামী জানুয়ারির মধ্যেই রংপুর জেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারবো।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের কথা বলছে। তারা বলছেন, সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন দেবেন। সংস্কার আমরাও চাই। কিন্তু সংস্কার তো একটা চলমান প্রক্রিয়া। এটি এক দিনে করা সম্ভব হবে না। তাই তাদের সংস্কারের রোডম্যাপ জানতে চাই।
২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে রংপুরে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল বিএনপি। পরের তিনটি নির্বাচনের মধ্যে দুটিই বর্জন করে দলটি।