প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে গণঅনশনে বসেছে ইনকিলাব মঞ্চ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০২:১৬ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ রোববার
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী অভ্যুত্থানে সক্রিয় পাঁচ শিক্ষার্থীকে হত্যায় জড়িতরা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না হওয়া প্রধান বিচারপতির বাসভবনে সামনে গণঅনশন বসেছে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে যেতে চাইলে পুলিশের বাধামুখে প্রধান বিচারপতির সামনে বসে পড়েন।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করেন তারা। এই মিছিলটিই প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) জুলাই-অগাস্টের গণ-আন্দোলনে সক্রিয় পাঁচ শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগ তুলে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরকারকে ৪৮ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে রোববার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে অনশনে বসার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেছিলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছাত্রজনতাকে হত্যা করা হচ্ছে, আগামী শনিবারের মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে ইনকিলাব মঞ্চ রোববার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে গিয়ে অনশন করবে।
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্ত দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে জখম হয়ে ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেলে মারা যান। ১৮ ডিসেম্বর পূর্বাচলের লেক থেকে শিক্ষার্থী সুজানা আক্তার (১৭) ও সাইনুর রশিদ কাব্য (১৬) নামে দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। একই দিন চট্টগ্রামে জসিম উদ্দিন নামে আন্দোলনে যুক্ত আরেক শিক্ষার্থী হত্যার শিকার হন।
এসব বিষয়ে শরীফ ওসমান বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছাত্রজনতাকে হত্যা করা হচ্ছে, আগামী শনিবারের মধ্যে যদি তাদের গ্রেপ্তার করে বিচার করা না হয়, তাহলে ইনকিলাব মঞ্চ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে গিয়ে অনশন করবে।
এসময় তিনি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং দলটির উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে শরীফ ওসমান বলেন, আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে বললাম। তা না করে এখন প্রত্যেক রাজনৈতিক দল ভোটের রাজনীতিতে ফিরে গেল এবং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করল। প্রত্যেকে আওয়ামী লীগের ব্যবসা-বাণিজ্যে ভাগ বসাল। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ যে যার ইচ্ছেমতো আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করছে।
ছাত্র উপদেষ্টাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা অনেক কাজ করতে চেয়েও করতে পারছেন না। সে দায় আপনাদের ওপর নিচ্ছেন কেন? আপনারা কোনো কাজ না পারলে সংবাদ সম্মেলন করেন। কোন কোন উপদেষ্টা, আমলা আপনাদের বাধা দিচ্ছে, তা জাতির সামনে প্রকাশ করুন।