১০ ঘণ্টা বেলুচ বিদ্রোহীদের দখলে জেহরি শহর!
ঢাকা এজ ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৫:০১ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ বুধবার
বুধবার বেলুচিস্তানের খুজদার জেলার জেহরি শহর ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নিজেদের দখলে রেখেছিল বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। বিএলএ-র দাবি, এটি ‘অপারেশন হিরোফ’-এর দ্বিতীয় পর্বের আগে একটি ‘সামরিক মহড়া’ ছিল।
দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে বিএলএ যোদ্ধারা জেহরিতে প্রবেশ করে লেভি স্টেশন, একটি ব্যাংক, ন্যাডরা অফিস এবং পৌরসভা দখল করে নেয়। বিএলএ-র মুখপাত্র জিয়ান্দ বেলুচ জানান, দুটি বিশেষ ইউনিট—স্পেশাল ট্যাকটিক্যাল অপারেশন স্কোয়াড (এসটিওএস) এবং ফতেহ স্কোয়াড—বিএলএ’র গোয়েন্দা শাখা ‘জিরাব’-এর সহায়তায় এই অভিযান পরিচালনা করে।
বিএলএ দাবি করেছে, তারা জেহরিতে ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব ধ্বংস’ করেছে। তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়, রাস্তায় টহল দেয় এবং স্থানীয় মসজিদের লাউডস্পিকার ব্যবহার করে তাদের উপস্থিতি ঘোষণা করে। জনসমাবেশে ভাষণ দিয়ে সাধারণ মানুষ ও সম্পত্তির কোনো ক্ষতি হবে না বলে আশ্বাস দেয়।
বিএলএ-র দাবি, তারা ২৩টি কালাশনিকভ রাইফেল, ‘প্রচুর’ গোলাবারুদ, সরকারি নথি, গাড়ি এবং মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। পরে বিভিন্ন ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পাকিস্তানি বাহিনী ৩৫টি গাড়ির একটি বহর নিয়ে অগ্রসর হলে জেহরি কোচুতে বিএলএ তাদের ওপর রিমোট-কন্ট্রোল আইডি এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের মাধ্যমে হামলা চালায়। এতে একটি সামরিক গাড়ি ধ্বংস হয় এবং কমপক্ষে চারজন সেনা নিহত এবং সাতজন আহত হয়।
জিয়ান্দ বেলুচ বলেন, স্থানীয় বেলুচ বাসিন্দারা ১০ ঘণ্টার দখলদারিত্বকালে ‘গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা’ প্রদান করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোনো বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়নি।
অন্যদিকে, বিএলএ জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা কালাতের পান্দারান এলাকা দখল করে দুইজন টেলিযোগাযোগ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
বেলুচিস্তান সরকার জেহরি ঘটনার ‘স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ’ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে "কঠোর কর্মকাণ্ডের" সতর্কতা দেওয়া হয়েছে এবং "বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ার" জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নোটিশ জারি করেছে।
কালাতের কমিশনার নিশ্চিত করেছেন যে, বিএলএ যোদ্ধারা জেহরি আক্রমণের সময় ২০টি কালাশনিকভ রাইফেল, ৪,০০০ রাউন্ড গোলাবারুদ, দুটি গাড়ি এবং দশটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে।