Deprecated: str_replace(): Passing null to parameter #3 ($subject) of type array|string is deprecated in /home/ph4m74q3/public_html/common/config.php on line 186
শিবলী রুবাইয়াতের জামিন চাইলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা!

শিবলী রুবাইয়াতের জামিন চাইলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ০১:২৫ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের রিমান্ড শুনানিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন জামিন চেয়ে শুনানি করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর রিমান্ড শুনানির জন্য বেলা ১২টায় এজলাসে তোলা হয় তাকে।  দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করার স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। 

আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দিন রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, মামলার এজাহারে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। যে টাকা নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে সেটা কোনো অবৈধ টাকা না। এখানে কোনো মানি লন্ডারিংয় হয়নি। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন। 

এর আগে গতকাল বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান। ওইদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন।

বুধবার দুদকের উপপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে শিবলী রুবাইয়াতসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মোনার্ক হোল্ডিং ইনকর্পোরেশনের চেয়ারম্যান জাবেদ এ. মতিন, ঝিন বাংলা ফেব্রিক্সের প্রোপাইটর আরিফুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির দিলকুশা শাখার ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের সাবেক ইনচার্জ ইসরাত জাহান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকবাল হোসেন, এসইভিপি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভুয়া বাড়িভাড়া চুক্তিনামা দেখিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আসামি শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এক কোটি ৯২ লাখ টাকা বা প্রায় দুই লাখ ২৬ হাজার ৩০৮ ইউএস ডলার ঘুষ গ্রহণ করেন। এছাড়া ভুয়া বিক্রয় চুক্তি দেখিয়ে পণ্য রপ্তানি না করে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা কাস্টমার ডিউ ডিলিজেন্স অনুসরণ না করে, পণ্য রপ্তানির বিপরীতে কোনরূপ রেকর্ডপত্র না পেয়েও কর্তব্যে অবহেলা ও পরস্পর যোগসাজশে 'নিজের বা অন্য কারও অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তিন লাখ ৬১ হাজার ইউএস ডলার টাকা বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে তিনি এক কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা নিজে গ্রহণ করেন।