ব্যাপক লাঠিচার্জ, ধড়-পাকড় : অবশেষে শাহবাগ ছাড়লেন আন্দোলনকারীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৫:৪৪ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সোমবার
পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ, ধড়-পাকড় ও বল প্রয়োগের মুখে অবশেষে শাহবাগ মোড়ের অবরোধ ছেড়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত (তৃতীয় ধাপ) সহকারী শিক্ষকরা। এতে করে তিন ঘণ্টারও বেশি সময়ের পর শুরু হয়েছে শাহবাগের চারটি সড়কের যান চলাচল। তবে সবগুলো সড়কেই গাড়ির দীর্ঘ সাড়ি ও তীব্র যানজট দেখা গেছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে সড়ক ছেড়ে পাশে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, যতবার পুলিশ সড়ক থেকে সরিয়ে দেবে ততবারই তারা ফিরে আসবেন। এমনকি আজ রাতেও শাহবাগেই অবস্থান করার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার পর থেকেই পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারী সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সড়ক থেকে তুলে দিতে বল প্রয়োগ শুরু করেন। এ সময় পুলিশ কয়েক দফায় আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সড়কে বসে থাকা নারী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতেও দেখা গেছে।
অন্যদিকে, দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত আন্দোলনে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীদের অনেককেই পুলিশ হেফাজতে নিতে দেখা গেছে। তাদের শাহবাগ থানায় রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে লাঠিচার্জের ফলে আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, অনেককেই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে সংখ্যাটি নিশ্চিত নই। তাদেরকে (আন্দোলনকারীদের) নিয়ে থানায় রেখেছি। তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে। কেউ নির্দোষ হলে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর কাউকে যদি গ্রেপ্তার দেখাতে হয় সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে, দুপুর ১টা ২০ মিনিটে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে শাহবাগে এনটিআরসির নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষকরা এবং হাইকোর্টের রায় বাতিল করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলে উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ৪ শতাধিক আন্দোলনকারী। পরে দুপুর পৌনে ২টার দিকে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে এবং লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ।