Deprecated: str_replace(): Passing null to parameter #3 ($subject) of type array|string is deprecated in /home/ph4m74q3/public_html/common/config.php on line 186
মুস্তাফিজকে ছেড়ে দেওয়া চেন্নাইয়ের বেহাল দশা, টানা চার হার

মুস্তাফিজকে ছেড়ে দেওয়া চেন্নাইয়ের বেহাল দশা, টানা চার হার

ঢাকা এজ ডেস্ক

প্রকাশিত : ০২:০৮ এএম, ৯ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার

জিততেই যেন ভুলে গেছে চেন্নাই সুপার কিংস! আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এ নিয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচে হারের মুখ দেখল। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চেন্নাইকে ১৮ রানে হারিয়ে জয়ে ফিরল পাঞ্জাব কিংস। শেষ দিকে ঝোড়ো ইনিংস খেললেও দলকে জেতাতে পারেননি ধোনি।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার। চেন্নাই পেসার খলিল আহমেদের প্রথম বলেই পয়েন্টের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান প্রিয়াংশ। অবশ্য দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই প্রভসিমরন সিংহকে শূন্য রানে ফেরান মুকেশ চৌধুরী। তিন নম্বরে নেমে শ্রেয়াস একটি ছক্কা মারলেও বড় রান করতে পারেননি। খলিলের বলে ৯ রানের মাথায় বোল্ড হন তিনি। মিডল অর্ডারে কেউই হাল ধরতে পারেননি। মার্কাস স্টয়নিস ৪, নেহাল ওয়াধেরা ৯ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১ রান করেন। ৮৩ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায় কিংসের

দেখে মনে হচ্ছিল, ১৫০ রান করতেও সমস্যায় পড়বে প্রীতি জিন্তার দল। কিন্তু প্রিয়াংশের ব্যাট থামেনি। একের পর এক বড় শট খেলতে থাকেন তিনি। পেসার থেকে শুরু করে স্পিনার, কাউকে বাদ দেননি। প্রিয়াংশের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শশাঙ্ক সিং। অর্ধেক দল সাজঘরে ফিরে গেলেও রান তোলার গতি কমেনি তখনো।
উইকেট নিতে মাথিশা পাথিরানার হাতে বল তুলে দেন রুতুরাজ। প্রথম ওভারে ২৩ রান দেন তিনি। তার মধ্যে ২২ রান আসে প্রিয়াংশের ব্যাট থেকে। মাত্র ৩৯ বলে শতরান করেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে আইপিএলে দ্রুততম শতরান করলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ১০৩ রান করে নুর আহমেদের বলে আউট হন প্রিয়াংশ। সাতটি চার ও ৯টি ছক্কা মারেন তিনি।
প্রিয়াংশ ফেরার পর পাঞ্জাবের রান টেনে নিয়ে যান শশাঙ্ক ও মার্কো জানসেন। গত বারের ফর্মেই এবার রয়েছেন শশাঙ্ক। আরও একটি অর্ধশতরান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান করে কিংস। শশাঙ্ক ৫২ ও জানসেন ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

২২০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি চেন্নাই। দলের দুই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ও ডেভন কনওয়ে পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে রান করছিলেন। রাচিনকে বেশি আগ্রাসী দেখাচ্ছিল। বুদ্ধি করে খেলছিলেন তারা। প্রায় প্রতি ওভারে বাউন্ডারি আসছিল। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরেই পঞ্জাবকে খেলায় ফেরান ম্যাক্সওয়েল। ৩৬ রানের মাথায় ক্রিজ় ছেড়ে বেরিয়ে বড় শট মারতে গিয়ে স্টাম্প আউট হন রাচিন। অধিনায়ক রুতুরাজ এই ম্যাচে ব্যর্থ। মাত্র ১ রান করে লকি ফার্গুসনের বলে আউট হন তিনি।

কনওয়ে চলতি মরসুমে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলছেন। আগের ম্যাচে রান না পেলেও এই ম্যাচে ভাল খেললেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন চার নম্বরে নামা শিবম দুবে। গত বার মিডল অর্ডারে চেন্নাইয়ের হয়ে যে ভূমিকায় তাকে দেখা যেত, এই ম্যাচে সেটা করলেন শিবাম। জরুরি রানরেট বাড়লেও হাল ছাড়েননি তারা। কনওয়ে অর্ধশতরান করেন।
চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিল এই জুটির ক্রিজে থাকা। কিন্তু সেটাই হল না। ফার্গুসনের বলে ৪২ রান করে বোল্ড হলেন শিবম। তিনি আউট হওয়ার পরে নামেন ধোনি। শেষ চার ওভারে জিততে দরকার ছিল ৬৭ রান। অর্থাৎ, প্রতি ওভারে ১৭ রান করে দরকার ছিল। ব্যাটে রান না পেলেও এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব ভাল করলেন শ্রেয়াস। যত ক্ষণ শিবম ছিলেন তত ক্ষণ যুজবেন্দ্র চহলকে বল দেননি তিনি। শিবাম আউট হতেই তাকে দিয়ে বল করালেন।

শেষ তিন ওভারে জিততে দরকার ছিল ৫৯ রান। বলের গতির হেরফের করছিলেন পেসারেরা। পাশাপাশি ভাল ফিল্ডিংও করে পাঞ্জাব। কয়েকটি চার বাঁচান ফিল্ডারেরা। সিঙ্গল, ডাবলসে কোনও সমস্যা হচ্ছিল না। ধীরে ধীরে জয় থেকে দূরে সরছিল চেন্নাই। ১৩ বল বাকি থাকতে রিটায়ার্ড আউট হন কনওয়ে। ৪৯ বলে ৬৯ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। তাঁর বদলে নামেন রবীন্দ্র জাডেজা। মুম্বাইয়ের তিলক বর্মার পর এবার চেন্নাইয়েরও এক ব্যাটার রিটায়ার্ড আউট হলেন। তবে সেই সিদ্ধান্ত কাজে লাগল না। দলকে জেতাতে পারলেন না জাদেজা।

প্রথম কয়েকটি বল ব্যাটে-বলে না হলেও ফার্গুসনের ওভারের শেষ দু’টি বলে জোড়া ছক্কা মারেন ধোনি। তাতে আশা বাড়ে চেন্নাইয়ের। শেষ ১২ বলে দরকার ছিল ৪৩ রান। ধোনি লড়াই ছাড়েননি। ১৯তম ওভারে অর্শদীপ সিংহের বলে আরও একটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৮ রান। যশ ঠাকুরের প্রথম বলে চহলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ধোনি। ১২ বলে ২৭ রান করেন তিনি। ধোনি আউট হতেই চেন্নাইয়ের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। ২০১ রানে থেমে যায় চেন্নাইয়ের ইনিংস।

এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে হারল চেন্নাই। আর তাতে পাঁচ ম্যাচে মাত্র এক জয়ো টেবিলের তলানিতে ধোনিরা। প্রসঙ্গত, সর্বশেষ আসরে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছিলেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। নিলামের আগে তাকে ছেড়ে দেয় সিএসকে। নিলামেও আগ্রহ দেখায়নি।