মারা যাওয়ার ৬ বছর পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার!

প্রকাশিত : ০১:০৮ এএম, ১২ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার

স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মামলা চলাকালে আসামি পক্ষ থেকে জানানো হয় মো. ওসমান আলী (৩৫) কিডনি জনিত রোগে মারা গেছেন। এরপর  আদালত থেকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর পর জানতে পারেন ওসমান আলী আসলে জীবিত। তিনি মারা যাননি।

বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৫টায় গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম যমুনা চর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

আসামি মো. ওসমান আলীর বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মন্নিয়ারচর এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মো. বাচ্চু ফকিরের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৯ আগস্ট মো. ওসমান তার স্ত্রী লাকী বেগমের কাছে ১ হাজার টাকা চাইলে লাকী বেগম তা দিতে অস্বীকার করেন। পরে এ নিয়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওসমান আলী লাকীকে ঘর থেকে বের করে টিউবওয়েলের কাছে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। পরে ২১ আগস্ট নিহত লাকী বেগমের বাবা মো. আব্দুর রহিম বাদী হয়ে ইসলামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলা থানা পুলিশ তদন্ত করে আসামি ওসমান আলীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। বিচার চলাকালে আদালতকে আসামি পক্ষ থেকে জানানো হয় মামলার আসামি ওসমান আলী ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সকাল ১০টায় কিডনি জনিত রোগে মারা গেছেন। আদালত পুলিশের কাছে ওসমান আলীর মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন। পরে ইসলামপুর থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেন। পুলিশ দীর্ঘদিন পর ওসমান আলীর অবস্থান শনাক্ত করেন এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করেন।

এ বিষয়ে জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, আসামি ওসমান আলী মারা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আদালত থেকে পুলিশের কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়। পরে আসামি মারা গেছে এ তথ্যটি আমলে না নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। দীর্ঘদিন তদন্ত করার পর তার অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হবে।