বগুড়ায় ‘পুলিশের ছররা গুলিতে’ বিএনপির চার নেতাকর্মী আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০১:০৯ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০২৩ রোববার
দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিনে বগুড়ায় গাড়ি ভাঙচুরের সময় পুলিশের ছররা গুলিতে চারজন আহত হওয়ার দাবি করেছে জেলা বিএনপি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি করার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কের তেলিপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতের মধ্যে একজন হলেন মো. মাহবুব আলম। তিনি বগুড়া পৌর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। বাকি তিনজনের নামপরিচয় এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তেলিপুকুর এলাকার মহাসড়কে অবরোধের সমর্থনে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। সকাল আটটার দিকে রংপু্রের দিক থেকে আসা কয়েকটি গাড়ি পুলিশী পাহারায় ঢাকার দিকে যাচ্ছিল।
এ সময় অতর্কিতে অবরোধকারীরা মহাসড়কের ওপর এসে হামলা করেন। এসময় সাত থেকে আটটা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এর মধ্যে দুধের গাড়ি, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক ছিল। ওই সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়।
পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা মহাসড়ক থেকে পালিয়ে যান।
ওই সময় টিয়ারশেলের পাশাপাশি ছররা গুলিও নিক্ষেপ করেছে পুলিশ— এমন দাবি করেন বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান। তিনি বলেন, সকাল থেকে অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতাকর্মীরা তেলিপুকুর এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় পুলিশ আমাদের অবরোধে বাধা দেয়। আমরা প্রতিরোধ করলে পুলিশ শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে বিএনপির কর্মী মাহবুব আলমসহ চার নেতাকর্মী আহত হন। বাকিদের নাম এখনও জানি না।
তবে বিএনপির অবরোধে ছরার গুলির কথা অস্বীকার করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার। তিনি বলেন, ‘এটা পুরোপুরি মিথ্যা। ওদের কোনো গুলি করা হয়নি। বরং বিএনপির নেতাকর্মীরা খুব কাছে থেকে আমাদের দিকে ককটেল, হাতবোমা ছুঁড়েছে। ওখানে অল্প বয়স্ক ছেলেরাও ছিল। ওরা নিজেদের ছোড়া হাতবোমায় আহত হয়েছে। আমরা অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শুধু টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছি।’