সাদ এরশাদের আসনে মনোনয়ন ফরম কিনলেন জিএম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ১০:৪৩ এএম, ২১ নভেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:৪৬ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ সদর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের রংপুর কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্রটি তোলেন জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল হোসেন লেবু। বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের ছেলে রাহগীর আল মাহী সাদ এরশাদ। 

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মমিনুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের পক্ষে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। 

এ বিষয়ে আজমল হোসেন লেবু বলেন, ‘আমি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও দলীয় চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নির্দেশে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। জাতীয় পার্টির ঘাঁটি রংপুর। এ আসনে দলের চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন। আমার সঙ্গে দলের অন্য কে আসল, কে না আসল তা বড় কথা না।’ 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলের চেয়ারম্যান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সারা দেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না তা জানাবেন। নির্বাচনের নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনে জাতীয় পার্টি যাবে কি না তা চূড়ান্ত হয়নি। 

এদিকে দলের চেয়ারম্যানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টির অধিকাংশ নেতা জানেন না বলে জানান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। 

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির বলেন, ‘দলের চেয়ারম্যানের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি আমার জানা নেই, গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকেই শুনছি। কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি।’ 

মনোনয়নপত্র সংগ্রহকালে জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাফিয়ার রহমান, সদস্য আব্দুর রহিম বাবলু, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি আতোয়ার রহমান, আইনজীবী ফেডারেশনের সদস্য অ্যাডভোকেট মাকসুদার রহমান রুবেল উপস্থিত ছিলেন। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ।