দুই তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১২:৫৬ এএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় দুই তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যায় ফকিরহাটের জারিয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. শাকিল সরদার (২৫)। তাঁর বাড়ি ফকিরহাট উপজেলার জারিয়া-চৌমাথা এলাকায়। তিনি ফকিরহাট সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে দুই তরুণী তাঁদের এক চাচাতো ভাই ও এক বন্ধুর সঙ্গে দুটি মোটরসাইকেলে করে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় ঘুরতে যান। সেখান থেকে রাত ১১টার দিকে চা পানের জন্য তাঁরা বাগেরহাট শহরতলির হজরত খানজাহান (রহ.)-এর মাজার মোড়ে যান। মাজার এলাকা থেকে রাত সোয়া ১২টার দিকে ফকিরহাট বিশ্বরোড মোড়ের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। ফকিরহাট উপজেলার সিংগাতী এলাকার জারিয়া-চৌমাথা এলাকায় তাঁদের গতি রোধ করেন ছাত্রলীগ নেতা শাকিল সরদার ও তাঁর বন্ধু মেহেদী পথ। সেখানে তাঁদের নানা রকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে দুই তরুণকে মারধর করা হয়। আর দুই তরুণীকে প্রথমে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানের ভেতরে, দ্বিতীয় দফায় একটি দোকানের পেছনে এবং তৃতীয় দফায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন শাকিল ও মেহেদী। এ সময় তাঁদের কাছে থাকা টাকাও ছিনিয়ে নেন তাঁরা। একপর্যায়ে দুই তরুণীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া এক তরুণ মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। আর ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে অপর তরুণকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে পালিয়ে যাওয়া তরুণ জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ভুক্তভোগী দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে এক তরুণী বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন। মামলার আসামি শাকিল সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়ার শেষে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। অপর আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে আজ সোমবার ছাত্রলীগ নেতা শাকিল সরদারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ফকিরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি তাঁর অধীনে থাকা সব ইউনিটকে জানানো হবে। এ ঘটনায় যেহেতু মামলা হয়েছে, আইনগতভাবেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে।