নৌকার প্রচারণায় অংশ নেওয়া ৯২ বছর বয়সী বৃদ্ধার বাড়িতে প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ০৩:৩৬ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ রোববার

দিনাজপুরে নৌকার প্রচারণায় অংশ নেওয়া সেই ৯২ বছর বয়সী নারী শ্রীমতী কামবালার বাড়িতে উপহার নিয়ে দেখা করতে গেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। রোববার সকালে তিনি সেখানে যান। প্রতিমন্ত্রীকে নিজের বাড়িতে দেখতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কামবালা।

শ্রীমতী কামবালা বলেন, ‌‘মুই খুব খুশি হইচো, মোর বেটা মোক দেখিবার আইচ্চে।’

এ সময় কামবালার ছনের ঘরের সামনেই তাকে একটি শাল, শাড়ী, শীতের পোশাক সোয়েটার ও কামবালার বাঁধাই করা দুটি ছবি উপহার দেন প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া কামবালার ছেলের বউকেও উপহার দেন তিনি।

এ সময় কামবালা প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, ‘বেটা তুই মোর বাড়িত আইচ্চি, মুই খুব খুশি হইচু, মোর ঘরত বসিবার জায়গা নাই, আগিনাত বস। মোড়তায় এত কিছু আনিবার কি দরকার ছিলো।’
উত্তরে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি তো ছেলের মতোই, তাই দেখিবা আইচ্চু।’

পরে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমি নির্বাচনের আগে এই এলাকায় একটি পথসভায় যখন আসলাম, তখন হাজার হাজার মানুষের ভিড় উপেক্ষা করে এই নব্বই ঊর্ধ্ব কামবালা আমার কাছে পৌঁছান, তখন তিনি একটি ১০ টাকার নোট উপহার দিয়ে আমাকে বলে নৌকায় ভোট দিতে এবং এই ১০ টাকা নির্বাচনের খরচ হিসেবে কাজে লাগাতে।

তিনি বলেন, আমি ছোট সময় থেকে নির্বাচনে কাজ করেছি প্রচার প্রচারণা করেছি, নিজের নির্বাচনে কাজ করেছি, কিন্তু একজন ভোটার আমার কাছে (নৌকার প্রার্থীর কাছে) ভোট চেয়েছে এই অভিজ্ঞতা প্রথম। ৯০ ঊর্ধ্ব একজন নারী নৌকার প্রার্থীর কাছে নৌকার ভোট চাইছেন, যে দাবিটা করেছেন এবং নির্বাচনী খরচ দিয়েছেন। সত্যিই আমি মুগ্ধ। আমি যখন নির্বাচিত হয়েছি তখনই ঠিক করেছিলাম, শ্রীমতী কামবালার বাড়িতে যাব। আজকে আসলাম, আসার পরে ওনার ব্যবহারে আমি আরও মুগ্ধ।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তিনি (কামবালা) হচ্ছেন এই নির্বাচনে সবচেয়ে পবিত্র এবং দামি ভোটার। এই রকম একজন মানুষ যখন একজন প্রার্থীকে আশির্বাদ দেয়, তখন সৃষ্টিকর্তা তার দিকে চোখ তুলে তাকায়। শেখ হাসিনা মানুষের জন্য যে কাজ করছেন এটা ৯০ ঊর্ধ্ব একজন মানুষের মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন এর সাক্ষী হয়ে আছেন কামবালা। সেই যে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসেছেন, নৌকাকে ভালোবেসেছেন, আজকে নব্বই বছরেও বার্ধক্য ওনাকে হার মানাতে পারেনি, বার্ধক্য উপেক্ষা করে নৌকা মার্কার প্রচারণা সভায় অংশ নিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য একটা শিক্ষা। সত্য এবং সুন্দরের জন্য কোনো কিছু আটকায় না, এটা কামবালা প্রমাণ করেছেন, আমি তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এখানে এসেছি।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনের এক নির্বাচনী পথসভায় শ্রীমতী কামবালা শতশত মানুষের বাধা উপেক্ষা করে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই সময় ১০ টাকার একটি নোট উপহার দিয়ে কামবালা প্রতিমন্ত্রীকে বঙ্গবন্ধুর নৌকায় ভোট দিতে অনুরোধ করেন এবং এই টাকা নির্বাচনে ব্যয় করার কথা বলেন। এর বাইরে অন্যদের কাছেও নৌকার পক্ষে ভোট চান।