১৪ বছরের কিশোরীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন ৭৭ বছরের আ.লীগ নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৪:২৪ পিএম, ২ মার্চ ২০২৪ শনিবার
৭৭ বছর বয়সি এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরী। বয়স বাড়িয়ে ১৮ করে নকল জন্মসনদ তৈরির অভিযোগ উঠেছে এই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এই অসম বয়সি বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, সমাজের চোখে আমরা স্বামী স্ত্রী হলেও আসলে আমরা স্বামী স্ত্রী নই। সে আমাকে জোরপূর্বক বিয়ে করেছে। বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শেষে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে তার বাসা নিয়ে যায়।
বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। আমাকে শিখিয়ে দেয় যে, তুই বলবি বাসা থেকে বিয়ে করতে স্বেচ্ছায় চলে এসেছি। আর বলবি ঢাকা থেকে এসেছি। ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতাম। তার পর বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করে। পরে আমি ভয়ে তার শেখানো কথা মানুষের সামনে বলি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযুক্ত হযরত আলী মিয়া (৭৭) উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নবম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোরীর পরিবার ও হযরত আলী একই ইউনিয়নের বাসিন্দা। পরিবারটি দরিদ্র হওয়ায় ওই বাড়িতে বিভিন্ন সহযোগিতা করার সুযোগে যাওয়া-আসা করতেন হযরত আলী। পরে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
তরুণীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরিব হওয়ায় সহযোগিতার কথা বলে হযরত আলী আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। তাকে সরল মনে বিশ্বাস করতাম। মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করেছেন। এতেই ক্ষান্ত হননি, অভিযোগ তুলে নিতেও হুমকি দিচ্ছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (ইউপি) মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব ওই কিশোরীকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বয়স এফিডেভিট করে বিয়ে করেছেন, এমনটি শুনেছি।
তবে অভিযুক্ত হযরত আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করায় পুরো এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
এর আগে ৬০ বছরের খন্দকার মোশতাক ১৮ বছরের তিশাকে বিয়ে করেন। বয়সের ৪২ বছর ব্যবধান হওয়ায় এ বিয়ে নিয়ে ব্যাপক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।