লড়াই চালিয়ে যেতে বললেন এমকিউএম প্রধান
প্রকাশিত : ০২:০৫ এএম, ৩১ মার্চ ২০২৪ রোববার
বেলুচিস্তানের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে লড়াই থেকে ফিরিয়ে আনতে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী, তার বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক করেছেন মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা আলতাফ হুসেন। তিনি বলেছেন, বেলুচ যোদ্ধারা লড়াই ছেড়ে দিলে তাদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কী নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।
সম্প্রতি বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বলেন, “সরকার বেলুচিস্তানের ‘অসন্তোষ’ জনগণের সঙ্গে আলোচনা করতে ইচ্ছুক। তাদের পাহাড় থেকে ফিরে আসা উচিত, তাদের অস্ত্র সমর্পণ করা উচিত, তাদের প্রতিরোধ শেষ করা উচিত এবং জাতীয়তা বোধের মধ্যে ফিরে আসা উচিত। আর সেটি করলে তাদের ক্ষমা করা হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে এমকিউএম নেতা আলতাফ হুসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে এসে বলেন, “বেলুচ যোদ্ধাদের এই প্রস্তাব দেওয়ার আগে বেলুচ জনগণের জিজ্ঞাসা করা উচিত যোদ্ধাদের প্রতি তারা কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
“অতীতে অধিকারের জন্য লড়াই করা বেলুচ নেতাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিশ্বাসঘাতকতার কারণে বেলুচরা রাষ্ট্র ও সরকারের কোনো প্রতিশ্রুতি বা প্রস্তাব এখন বিশ্বাস করতে প্রস্তুত নয়”
এমকিউএম প্রধান বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রীর ওই প্রস্তাবের প্রশংসা করেন। কিন্তু এও বলেন, পুরো বিষয়টি ‘রাজনৈতিক বলপ্রয়োগ ও বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়’।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বেলুচিস্তান পাকিস্তানের অংশ ছিল না, কিন্তু জোর করে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। আর বেলুচরা স্বাধীনতা ও নিজেদের ভুমি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া জন্য সেই ১৯৪৮ সাল থেকে সংগ্রাম করছে।”
আলতাফ বলেন, সেনাবাহিনীর নৃশংসতার কারণে অনিচ্ছায সত্ত্বেও বেলুচরা সশস্ত্র প্রতিরোধের পথ অবলম্বন করতে বাধ্য করেছে। সেনাবাহিনী কখনই বেলুচ নেতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। সবসময় বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ১৯৪৮ সালে প্রিন্স করিমের নেতৃত্বে প্রথম সশস্ত্র সংগ্রামের সময় বেলুচদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছিল। প্রিন্স করিম ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।”
তার ভাষ্য, “একইভাবে জেনারেল আইয়ুব খানের আমলে নবাব নওরোজ খানের নেতৃত্বে দ্বিতীয় সশস্ত্র সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছিল বেলুচিস্তানে। তখন সেনাবাহিনী নবাব নওরোজ খানকে প্রতারণার কাজে ধর্মগ্রন্থ ব্যবহার করেছিল। বলেছিল- যদি যোদ্ধারা প্রতিরোধ বন্ধ করে এবং পাহাড় থেকে নেমে আসে, তাহলে সাধারণ ক্ষমা করা হবে। কিন্তু সেখানেও বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়।”