স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে গৃহবধূর মাদ্রাসায় অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ০৮:৪৭ পিএম, ১ অক্টোবর ২০২৩ রোববার

মাদারীপুরের কালকিনিতে স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে স্বামীর কর্মস্থল মাদ্রাসায় অবস্থান নিয়েছেন এক গৃহবধূ। রোববার দুপুরে উপজেলার ডিক্রিরচর ফাজিল মাদ্রাসায় অবস্থান নেন ওই গৃহবধূ।

স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ উপজেলা ও জেলাপর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ। মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ছত্রছায়ায় থেকে ওই প্রভাষক অপকর্ম চালিয়ে আসছেন বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও সরেজমিন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডিক্রিরচর ফাজিল (বিএ) মাদ্রাসার প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে অনার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর প্রথমে পরিচয় হয়। পরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এ সুবাদে প্রায় সাত বছর আগে শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের এক পরিচিত লোকের মাধ্যমে (নামমাত্র) কাবিননামা তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে ওই শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবত তার কোনো খোঁজখবর রাখেন না এবং তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছেন না।

ওই গৃহবধূ স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ উপজেলা ও জেলাপর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ওই প্রভাষকের বেতন বন্ধ করে দেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ওই প্রভাষককে পুনরায় ওই নারীকে কাবিন করে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। এতে প্রভাষক কোনো কর্ণপাত না করায় ওই গৃহবধূ এখন বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সরলতার সুযোগ নিয়ে মোস্তাফিজ আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। আমি স্ত্রীর স্বীকৃতি চাই। মোস্তাফিজ এর আগেও বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছেন। অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি এর আগেও কয়েকটি বিয়ে করেছি; ওর যা মন চায় করুক। আমি কাউকে ভয় পাই না। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ফজুলর রহমান বলেন, আমরা ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তবে এ বিষয়টি উভয়পক্ষের লোকজন নিয়ে বসে সমাধানের জন্য সভাপতি নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

অধ্যক্ষ এনামুল বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা কয়েকবার বসেছিলাম।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম বলেন, এতবড় অপরাধ করে শিক্ষক কী করে পার পাওয়ার চিন্তা করে। এটা আসলে একটা দুঃখজনক ঘটনা। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিংকি সাহা বলেন, বিষয়টি নিয়ে ওই মাদ্রাসার সভাপতির সঙ্গে আমি কথা বলব।